কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: মাঘের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এখানে গাছে গাছে আমের মুকুল ফুটতে শুরু করেছে বোম্বায় আম, হিম সাগর, আমরুপালি, ল্যাংড়া, ফজলিসহ আমের গাছে মুকুল আসছে। মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও বাগান মালিকরা। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় মুকুলে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ছিটাচ্ছেন তারা। সরজেমিনে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদা, জগন্নাথপুর, চারুলিয়া, ধান্যঘরা, কার্পাসডাঙ্গা, কুতুবপুর, বোয়ালমারি ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের আমচাষি ও ব্যবসায়ী স্বাধীন হাসান বলেন, উপজেলার প্রতিটি বাগানে আম গাছে মুকুল এসেছে এ বছর। তাই কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করছি। যেনো মুকুলগুলো নষ্ট না হয়। বাগানে বোম্বায় আম, হিম সাগর, আমরুপালি, ল্যাংড়া, ফজলিসহ বেশ কয়েক জাতের আম গাছ আছে। গত বছর থেকে এবার আম গাছের অবস্থা ভালো আছে। আশা করছি ভালো ফলন হবে। উপজেলার নাটুদার আমচাষি আব্দুস সালাম বলেন, গাছে মুকুল দেখে এক সপ্তাহ ধরে গাছে স্প্রে করছি। আম বাগানে সেচও দিতে হচ্ছে। উপজেলার চন্দ্রবাস এলাকার একটি আম বাগানে সেচ দিচ্ছেন চাষি আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, প্রায় তিন মাস ধরে এ এলাকায় বৃষ্টি হয়নি। আর হিমেল বাতাসের কারণে আম গাছের গোড়া শুকিয়ে গেছে। তাই সেচ দিতে হচ্ছে। এই আম বাগানে আমার প্রায় ৮০টি বিভিন্ন প্রকারের আমের গাছ আছে। গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। তবে আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমের ছোট ছোট গুটি দেখা যাবে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মনিরুজামান বলেন, এবছর কুয়াশার প্রাদুর্ভাব তেমন না থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অনেক গাছে আগাম মুকুল এসেছে। সাধারণত মাঘ মাসের ৮ তারিখ থেকে ফাল্গুন মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার সময়। এ সময়ে সাধারণত কুয়াশা ও পোকার আক্রমণ হয় মুকুলে। তাই কীটনাশক দিয়ে স্প্রের পরামর্শ দিচ্ছি চাষিদের।