মিরাজুল ইসলাম মিরাজ:
দামুড়হুদার সাপ্তাহিক হাটে আগাম সজনের ডাঁটার দেখা মিলেছে। দাম ক্রেতাসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। ১২৫টাকা পোয়া ৫’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, মানুষের সব চেয়ে মুখরোচক সবজি সজনের ডাঁটা বছরে একবার হয়ে থাকে। বুধবার দামুড়হুদা হাটে এক সবজি বিক্রেতা বিক্রি করছিলো নতুন সজনের ডাঁটা। ১২৫টাকা পোয়া দাম বলাই অনেক ক্রেতারা দাম শুনে ফিরে যায়। আবার যাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে তারা কিনে নিয়ে গেছে। গ্রাম বাংলার বসতভিটার আঙিনায় বেশিরভাগ বধুরাই সজনে গাছ লাগিয়ে থাকে পরিবারের তরিতরকারির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অনেক পরিবার বিক্রি করে থাকে। বছরে এববার ডাঁটা হয়ে থাকে। তবে এবছর গাছে খুব একটা সজনের ডাটা ধরাপাতেনি। এজন্য শুরুতেই অনেকটা দাম বেশি।
সবজি বিক্রেতা ইকবাল হোসেন জানান, তিনি দামুড়হুদা উপজেলা দর্শনা পাইকারি(কাঁচাবাজার) থেকে ১০কেজি সজনের ডাটা বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসেন। প্রায় সব বিক্রি হয়ে গেছে আর অল্প কিছু রয়েগেছে। ওগুলোই সন্ধার আগে বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছিলো। সজনের ডাঁটা আর কদিন পর হাট বাজার গুলোতে বেশি বেশি পাওয়া যাবে। তখন দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
সজিনার ব্যবহার, সজিনা ডাঁটা খাবার হিবেসেই বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মার্চ -আগষ্ট মাস পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায় সজিনার ডাঁটা। আগাম সজিনা ডাঁটা বাজারে নিতে পারলে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, সজিনা ডাঁটা কে পুষ্টির ডিনামাইট বলা হয়। সজিনার ডাঁটায় আমিষ, চর্বি, শর্করা, ক্যালশিয়াম, আয়রন, জিংক, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি ও ভিটামিন -সি থাকে। যা মানুষের শরিরের জন্য খুবই উপকারি।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মো মনিরুজ্জামান বলেন, নিজ উদ্যোগে দু’বছর দামুড়হুদা উপজেলার ডিসি ইকো পার্ক, উপজেলা পরিষদ চত্বর সহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ২হাজার পিচ সজিনার ডাল লাগিয়েছিলাম। তার মধ্যে আনুমানিক ১হাজার ডাল জীবিত আছে। এবং সে ডাল গুলোতে এ মরসুমে ফুল ধরেছে। যে ডাল গুলোতে সজিনার ফুল হয়েছে তা থেকে কিছুটা হলেও ডাঁটা হবে, যা উপজেলার সবজির চাহিদা পূরণ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।