স্টাফ রিপোটার: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইদ্রিসের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী জেসমিন খাতুন সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেসমিন খাতুন অভিযুক্ত ইদ্রিস মেম্বারের সাথে শারীরিক সম্পর্কের কারনে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন। গত পরশুদিন এ ঘটনাটি জানাজানি হলে টক অব দ্যা বোড়াই গ্রাম পরিণত হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বোড়াই গ্রামের কাউন্সিল পাড়ার মৃত বারী বিশ্বাসের ছেলে ইদ্রিস বিশ্বাস তার প্রতিবেশী প্রবাসী রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন খাতুনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। জেসমিন খাতুনের বাড়ী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসনহাটি খাসপাড়ার গ্রামে। সাংসারিক জীবনে অভিযুক্ত মেম্বারের ২ ছেলে ১ মেয়ে এবং ভুক্তভোগীর ২ ছেলেসন্তান রয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেসমিন খাতুনের মাঝে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিলো। এর আগে তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় প্রতিবেশীরা হাতেনাতে ধরে। পরে বয়স ও সম্মানের দিকে তাকিয়ে ৩-৪ হাজার টাকায় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলে। এরপর আবারো চলতে থাকে তাদের সম্পর্ক। গত পরশু বুধবার জেসমিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্থানীয় ডাকবাংলা বাজারের আল-জিজিয়া প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করান। রিপোর্টে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি স্বামীর বাড়ি না গিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান এবং বিষয়টি বোড়াই গ্রামের একাধিক ব্যক্তিদের মোবাইলের মাধ্যমে জানায়। পরে অভিযুক্ত মেম্বার ঘটনা শোনার পর বিভিন্নভাবে সবকিছু ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। জেসমিন খাতুনকে অবৈধ গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু জেসমিন খাতুন বাচ্চা নষ্ট করতে রাজি হননি। এদিকে, এ খবর বিদেশে তার স্বামীকে জানলে তিনি জেসমিনকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে, জেসমিন খাতুনের স্বামী বিদেশ থেকে চাহিদামতো টাকা পাঠাতে পারতেন না। অপরদিকে প্যানেল চেয়ারম্যান বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক। অভিযুক্ত লম্পট ইদ্রিস মেম্বার তার অর্থের যোগান দিতেন। ২-৩ লাখ টাকাও জেসমিনকে দিয়েছে। এখন অভিযুক্ত মেম্বার চাচ্ছেন যেকোনোভাবেই বাচ্চা নষ্ট করতে। অপরদিকে, ভুক্তভোগী জেসমিন ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ বিঘা জমি চাচ্ছেন। বর্তমানে মেয়েটি চুয়াডাঙ্গায় তার ফুফাতো বোনের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে গোপন সূত্র জানায়।
এদিকে অন্য একটি সূত্র জানায়, বয়োবৃদ্ধ প্যানেল চেয়ারম্যান এবং ওই নারী দুজনই দুশ্চরিত্র প্রকৃতির। ওই নারীর একাধিক পরকীয়া ছিলো। এখন অন্তঃসত্ত্বার কারণে অর্থের লোভে মেম্বারের ওপর চাপছে। অন্যদিকে বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে টক অব দ্যা ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার ইদ্রিসের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ