দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলা বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ। অভিযানে তরমুজের পাইকারি আড়ত, মুদি দোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। অভিযান সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত মুনাফালোভীরা যেনো বেশি দামে পণ্য বিক্রয় করতে না পারে সেজন্য সরকারের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাঁঠালতলা বাজার নামক স্থানে তরমুজের আড়তে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কাঁঠালতলার রমজান স্টোরকে দোষী সাব্যস্ত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ (ক) ও ৩৮ (খ) ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিনে কাঁঠালতলা বাজারের মাসুদুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ (ক) ও ৫১ (খ) ধারা অনুযায়ী মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময়ে কাঁঠালতলা বাজারের মেসার্স কে এম কসমেটিক’র স্বত্বাধিকারী মো. কলিম উদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৯ এর (ক) ধারা অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহাম্মেদ। অভিযানকালে তরমুজের আড়তদারদের সতর্ক করে বলেন, কোন তরমুজ যেন কেজিতে বিক্রি না করা হয়। সব তরমুজগুলোই পিস হিসেবে বিক্রি করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও কেনা বেচার ভাউচার সংরক্ষণ করতে বলা হয়। কোনো অনিয়ম দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযান পরিচালনাকালে সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.