স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার মাঝেরপাড়ায় ড্রেন নির্মাণের চার মাসেও বসানো হয়নি স্লাব। যাতায়াতের একমাত্র সড়কে ড্রেনের স্লাব না থাকায় চলাচলে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বেশকয়েকটি পরিবারের। একে-তো সরু পথ, তার ওপর নেই ড্রেনের স্লাব। ফলে বেশকয়েকটি ছোট বড় দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে। সরু এই রাস্তায় ড্রেনের স্লাব না থাকায় চলাচলের সময় অসাবধানতাবশত পরে গিয়ে দু’দফায় হাত ও পা ভেঙেছে এলাকার জাকির হোসেনের। বিষয়টি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদারকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভূক্তভোগী পরিবারসূত্রে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়ার মৃত রহিম বক্স মেম্বারের বাড়ির সামনে থেকে জাকির হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিছুদিনের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও আজও পর্যন্ত বসানো হয়নি স্লাব। সরু এই সড়কটি দিয়েই চলাচল করে বেশকয়েকটি পরিবার। নিয়মিত যাতায়াত করে ওই পরিবারের শিশুসহ সকল বয়সী সদস্যরা। চলাচলের একমাত্র সড়ক হওয়ায় যাতায়াতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। একটু অসাবধান হলেই সর্বনাশ। গত ২৬ মার্চ ড্রেনে পড়ে পা ভেঙে যায় ওই এলাকার মৃত হায়বাত আলীর ছেলে জাকির হোসেন টুটুলের। গত ১১ জুন ওই ড্রেনেই পড়ে আবারও হাত ভাঙে তার। এছাড়া ছোট-বড় দুর্ঘটনা তো ঘটছেই।
জাকির হোসেনসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, চারমাসেও এই ড্রেনের ওপর স্লাব বসানো হয়নি। বিষয়টি পৌর মেয়র এবং কাজের ঠিকাদারকে জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ড্রেনের স্লাব বসিয়ে বিপদমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
এ বিষয়ে ড্রেন নির্মাণকাজের ঠিকাদার আব্দুর রশিদ বলেন, ঝড়-বৃষ্টির কারণে ওই এলাকার ড্রেনের স্লাব নির্মাণ করে বসানো সম্ভব হয়নি। তাছাড়া কাজের মেয়াদ এখনও ৬ মাস আছে। চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ