স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় দুই মাস পর লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল শনিবার ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে গণসংযোগ করে চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গণসংযোগ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জন, ট্যাক্স, খাজনা, অন্যান্য প্রদেয়, মামলার হাজিরা থেকে বিরত থাকা, ব্যাংকে লেনদেন এড়িয়ে চলা, ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালনে বিরত থাকাসহ নানা বিষয় লিফলেটে তুলে ধরা হয়। লিফলেটে বিএনপির পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়, ৭ জানুয়ারির ডামি ভোটের খেলা বর্জন, ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরত থাকা, সরকারের সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল, অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখা, ব্যাংকগুলো সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম তাই লেনদেন এড়িয়ে চলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ মিথ্যা ও গায়েবি মামলার হাজিরা থেকে বিরত থাকা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চুয়াডাঙ্গা শাখা এ কর্মসূচি পালন করে। দীর্ঘ ৫৬ দিন পর জেলা বিএনপি চুয়াডাঙ্গায় প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে আবারও রাজনৈতিক মাঠে উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। মামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপনে ছিলেন বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল রোড, কোর্ট মোড়, কোর্ট রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জেলা বিএনপির আয়োজনে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। পরে বিকেল ৩টায় আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে আনন্দধাম ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা জাসাস’র সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া স্বপন, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন মালিক। লিফলেট বিতরণকালে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনকে বর্জন করেছে। অবৈধ নির্বাচন কমিশনের অধীনে এ নির্বাচন আমরা মানি না। দেশের জনগণ ৭ তারিখের ভোটে যাবে না। নির্বাচনের দিন বুঝিয়ে দিতে হবে এ সরকার জনগণের সরকার নয়। সরকার রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে, গায়েবি সাজা দিয়ে এমনকি হত্যা করে দেশজুড়ে এক ভয়ঙ্কর আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনে ফুঁসে উঠেছে। এবার জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা ভোট বর্জনের পক্ষে। সরকার পতনের আন্দোলনে শুরু থেকেই জনগণের সমর্থন পেয়েছি। জনগণের সমর্থনে আন্দোলন এগিয়ে চলছে এবং অসহযোগ আন্দোলন ও ডামি নির্বাচন বর্জনে লিফলেট বিতরণে জনগণের সাড়া পাচ্ছি। লিফলেট বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুল আলম কনক, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.