ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ঝিনাইদহ শহরের উপশহর পাড়া এলাকা থেকে রাশেদুজ্জামান রাশেদ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাশেদুজ্জামান রাশেদ শহরের পবহাটী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে এবং পেশায় তিনি একজন দর্জি। পুলিশ বলছে, আটক রাশেদ তাঁর ১৪ বছরের মেয়েকে গত রোজার সময় থেকে প্রায়ই ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন। সম্প্রতি তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা বলে জানতে পারে পরিবার। এরপর বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে রোববার বিকেলে শহরের সোনালী ব্যাংকপাড়া থেকে রাশেদকে ধরে গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে থানায় নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, ‘থানায় আনা অভিযুক্ত রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও তাঁর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার কিছু সত্যতা মিলেছে। মেয়েটি তার বাবার অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে। ফলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাশেদকে আটক দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার পূর্ণাঙ্গ সত্যতা নিশ্চিত করতে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই পূর্ণাঙ্গ সত্যতা জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।’ ওসি আরও বলেন, ‘রাশেদ শহরের উপশহর পাড়ায় বিয়ে করেন। তাঁর একাধিক স্ত্রী রয়েছে। কিশোরী মেয়েটি তার নানা বাড়িতে থেকে ঝিনাইদহ শহরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। তার বাবা বিভিন্ন সময় ফুপুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল বলে জানা গেছে।’ বিষয়টি নিয়ে মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু বলেন, ‘ঘটনাটি সত্য হয়ে থাকলে আমাদের জন্য লজ্জাজনক। গলায় জুতা ঝুলিয়ে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা ঠিক না। একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে পারে। তার সেই অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপরাধী বলা যাবে না। সে অপরাধী হলে আইন-আদালত আছে। সেখানে তাঁর বিচার ও শাস্তি হবে। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে জুতা পরিয়ে থানায় আনা মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ