ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলার এ প্রথম সুস্থ হওয়া করোনা জয়ী বেসরকারি কোম্পানীর বিক্রয় কর্মকর্তা আরাফাতকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হরিণাকু-ু উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার টাওয়ারপাড়ার বাবলু রহমানের ছেলে আরাফাত করোনা রোগ থেকে জয়ী হয়ে সুস্থতার এ ছাড়পত্র পেয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। করোনা জয়ী আরাফাত সুস্থতা হওয়ার খবর শুনে তার বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা। এসময় তিনি দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ, ফল-মুল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত হয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ডা. জামিনুর রশিদ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও রোগীকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করেন। করোনার রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই আরাফাতের ও তার পরিবারের নিয়মিত খোজ খবর রাখতেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলাতানা। নিয়মিত করোনা রোগী ও তার পরিবারের সাহস যোগিয়েছেন। আর এ করোনা ভয়কে জয় করার সাহস যোগানোর জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানাকে এলাকার মানুষ বীরত্বের খেতাব দিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের এমন ভালোবাসা পেয়ে আবেগাপ্লুত আরাফাত ও তার পরিবারের সদস্যরা। করোনা জয়ী আরাফাত জানান, সে গাজীপুর ম্যারিকো কোম্পানীর বিক্রয় কর্মকর্তা হিসাবে চাকরি করেন। গত ২২ এপ্রিল থেকে বাড়িতে এসে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। পরে পরীক্ষা করে তার করোনা রোগ শনাক্ত হয়। তিনি আরও জানান, আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়েছি। অনেক খুশি লাগছে। ইউএনও স্যার সবসময় খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়ার কারণে করোনা মুক্ত হয়েছি। করোনা থেকে মুক্ত আরাফাতের বাবা বাবুল শেখ জানান, ইউএনও স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি পরিবারের সদস্যর মতো পাশে ছিলেন। আজ (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী আর ফল-মুল পেয়ে আমরা খুব খুশি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্যার খুব সহযোগিতা করেছেন। আমরা দোয়া করি স্যারদের জন্য। আর আমাদের পরিবারের জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদ জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় খোজ-খবর ও সকল পরামর্শ দেয়া হয়েছিলো। পর পর দু-বার তার নমুনা নেগেটিভ আসার কারণে ও সুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে আজ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, করোনার ভয়কে জয় করার জন্য প্রথম থেকেই আমরা উপজেলা প্রশাসন পাশে আছি। আমরা তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য সব সময় পাশে থেকেছি। আশে-পাশের কোয়ারিন্টাইনে থাকা ১০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আর করেনা থেকে মুক্ত আরাফাতের পরিবারের সকল খাদ্য সহায়তা এ পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে জেলার প্রথম সে করোনা থেকে জয়ী হওয়ায় আমরা নিজে বাড়িতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী পৌছে দিয়েছি। উপজেলা প্রশাসন সবসময় মানবতায় কাজ করে চলেছে। এ দিকে জেলায় এই প্রথম হরিণাকু-ুতে একজন করেনা মুক্ত হলেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ