জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে মেয়ের ধাক্কায় পিতার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই গ্রেফতারকৃত নাসরিনের ছোটবোন এখলাছ উদ্দিনের স্ত্রী বুবলী আক্তার এ মামলা দায়ের করেন। এদিকে গ্রেফতারকৃতকে গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করে বলে জানা গেছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার রাতে মা ও মেয়ের ঝগড়া থামাতে গেলে মেয়ে নাসরিন আক্তার (৪০) পিতা নূর মোহাম্মদকে (৭০) ধাক্কা মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই নাসরিনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, জীবননগর বাজারের প্রাক্তন চুড়িমালা ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ শহরের মহানগর উত্তরপাড়ায় ৪ শতক জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। স্ট্রোকজনিত কারণে তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। ২ কন্যা সন্তানের জনক নূর মোহাম্মদ। বড় মেয়ে নাসরিন সম্প্রতি স্বামী আব্দুল আজিজের সাথে ডিভোর্স নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়ি ফিরে তিনি নানাজনের সাথে অস্বাভাবিক আচারণ করতে থাকেন। পিতার জমি অংশ বুঝে নেয়ার জন্য নানাজনের নিকট ছোটাছুটি শুরু করেন। তার মস্তিষ্ক বিকৃত ঘটে। ছোট মেয়ে বুবলী ও জামাতা বাড়ির সামনে দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করেন। নাসরিন বেশ কিছুদিন ধরে তার জমির অংশ বুঝে নিতে চাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে মায়ের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয় নাসরিন। শুরু হয় মা-মেয়ের ধস্তাধস্তি। ঝগড়া থামাতে গেলে নাসরিন তার পিতাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। খবর পয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কলে) মো. মুন্না বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরদির্শন করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই নাসরিনকে থানায় নেয়া হয়। লাশ উদ্ধার করে গতকাল চুয়াডাঙ্গা মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। বিকেলে জীবননগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে নামাজে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জীবননগর থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান, রাতেই নাসরিনের নামে মামলা দায়ের করেন তার ছোট বোন বুবলী। এ মামলায় নাসরিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল চুয়াডাঙ্গা সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়।