জীবননগরে শিক্ষক ছেলের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগ
জীবননগর ব্যুরো: পিতার পেনশনের টাকা ভাগাভাগি করাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধা মা মনোয়ারা খাতুনকে (৮০) মেরে আহত করেছেন কুলাঙ্গার ছেলে শফিকুল ইসলাম মহন। মহন করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং জীবননগর পৌর এলাকার নতুন তেতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, শফিকুল ইসলাম মহনের পিতা নুর মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৫ বছর আগে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। নুর মোহাম্মদ মারা যাবার পর ছোট ছেলে শফিকুল ইসলাম মহন তার মা মনোয়ারা খাতুনকে বোন মর্জিনা খাতুনের বাড়িতে রেখে আসেন। এরপর প্রতি মাসে পিতার পেনশনের টাকা উত্তোলনের সময় শফিকুল ইসলাম মহন তার বৃদ্ধা মাকে কৌশলে হিসাব রক্ষণ অফিসে নিয়ে যান এবং টাকা উত্তোলনের পর মায়ের হাতে ৫শ টাকা দিয়ে অবশিষ্ট টাকা মহন নিজে রেখে দিতেন। টাকা উত্তোলনের পর মহন তার মাকে পুনরায় বোন মর্জিনা খাতুনের বাড়িতে রেখে আসতেন। পেনশনের সমুদয় টাকা নিয়েও মহন তার বৃদ্ধা মাকে ভরণপোষণ করতেন না। এর এক পর্যায়ে ২ বছর আগে মর্জিনা খাতুন তার ভাই শফিকুল ইসলাম মহন যেন মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয় এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মহনকে তার বৃদ্ধা মাকে ভরণপোষণসহ প্রতি মাসে মায়ের হাতে ২ হাজার টাকা দেবার নির্দেশ দেন। কিন্তু শফিকুল ইসলাম মহন সে নির্দেশ অমান্য করে মায়ের ভারণপোষণের দায়িত্বও নেননি এবং পেনশনের টাকা উত্তোলনের পর মাকে না দিয়ে সমুদয় টাকা নিজের কাছে রেখে দেন। পেনশনের টাকা এবং মায়ের ভরণপোষণের বিষয় নিয়ে মহনের সাথে বোন মর্জিনা খাতুনের মনোমালিন্য হয়। এর এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহন তার বোন মর্জিনা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বৃদ্ধা মাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এ সময় মহনের ভাগনে রুবেল এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে পরবর্তীতে মহন ভাগনে রুবেলের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।