জীবননগরে জেলা পরিষদের ইজারাদার দোকান মালিক সমিতির সভা : ইজারাদারদের দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি
জীবননগর ব্যুরো: কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ জীবননগর উপজেলায় অবস্থিত ইজারাকৃত জমির খাজনা বছরে প্রতি বর্গফুট ১২ টাকার স্থলে এক লাফে বৃদ্ধি করে ৭২ টাকা করেছে। ইজারা চুক্তি বছর ভিত্তিক হলেও জীবননগরের ক্ষেত্রে তা মাসিক চুক্তি হিসেবে করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ইজারাদারদের দাবি বাংলাদেশসহ বিশে^র কোন দেশে সরকারি জমি বাৎসরিক ভিত্তিতে ছাড়া মাসিক ইজারার কোন নজির নেই। অথচ চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ সে নজির স্থাপন করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে মাসিক ইজারার পাথরের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। যা ইজারাদাররা কোন দিনও মানবে না বলে সাফ জানিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্টেডিয়ামে ইজারাদার দোকান মালিকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অবিলম্বে ইজারাদারদের দাবি পূর্বের ইজারা মূল্য বলবৎকরণসহ চাপিয়ে দেয়া মাসিক প্রতি বর্গফুট ১২ টাকা ইজারার নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে। প্রত্যাহার করা না হলে বৃহৎ আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ইজারাদারদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইজারার টাকা পরিশোধ না করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিকেলে জীবননগর স্টেডিয়ামে জেলা পরিষদের ইজারাদার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ কর্তৃক অন্যায়ভাবে বৃদ্ধিকৃত ইজারা মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জীবননগর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান হাজি আশরাফুল ইসলাম, জীবননগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৌলৎগঞ্জ বাজার কমিটির সাবেক আহ্বায়ক এম আর বাবু, পৌর কাউন্সিলর আবুল কাশেম, সাংবাদিক মাজেদুল ইসলাম মিল্টন, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজি শাহজাহান আলী, শিক্ষক আব্দুস সামাদ, ব্যবসায়ী হাজি মশিয়ার রহমান মল্লিক ও কাজি খালিদুজ্জামান প্রমুখ। এ সময় ইজারাকৃত মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার কোথাও জেলা পরিষদের ইজারাকৃত জমির খাজনা বাৎসারিক থেকে মাসিক করা হয়নি। শুধুমাত্র জীবননগর উপজেলাতে করা হয়েছে। এখানে কিছু দালালচক্র তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য জেলা পরিষদের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে এ ধরনের কাজ করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যতোদিন পর্যন্ত বাৎসারিক ১২ টাকা হারে খাজনা না নিবে ততোদিন পর্যন্ত আমরা জেলা পরিষদের আর কোন খাজনা দেবো না। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন জেলা পরিষদের ইজারাদার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রফি।