জীবননগরে জিরা চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম

জীবননগর ব্যুরো: বাণিজ্যিকভাবে জিরা চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম। তিনি উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের তেল পাম্পের নিকট ভাই ভাই কৃষি প্রজেক্টে ১১ শতক জমিতে বারী-১ জাতের জিরা চাষ করেছেন। সরেজমিনে কৃষি প্রজেক্টে গিয়ে দেখা যায়, জিরা গাছগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জীবননগর কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় গত বছরের নভেম্বর মাসে জমিতে বেড করে ১১ শতক জমিতে আমি জিরার বীজ বপন করি। ইতোমধ্যে জিরা গাছে ফুল এসেছে। ফলও আসতে শুরু করেছে। কৃষি কর্মকর্তারা আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আল্লাহ রহমত করলে মাসখানেকের মধ্যে আমি জিরা সংগ্রহ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিরা চাষ বিষয়ে বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে আমি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। আমার কৃষি প্রজেক্টে জিরা, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ-রসুন ছাড়াও বিভিন্ন ফসলের চাষ করেছি।’ জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, জীবননগর কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় উপজেলায় প্রথমবারের মতো জিরার চাষ শুরু হয়েছে। এটিই চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রথম জিরা চাষ। সন্তোষপুরসহ উপজেলার মোট তিন জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে জিরার চাষ করা হয়েছে। তবে অন্য দুই জায়গার চেয়ে জাহিদুল ইসলামের জমির জিরা গাছগুলো অনেক ভালো অবস্থায় আছে। ফসল সংগ্রহ না করা পর্যন্ত আমরা সফল হবো কি না বলতে পারছি না। তবে আমরা খুবই আশাবাদী। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। উল্লেখ্য, নাতিশীতোষ্ণ এবং শুষ্ক আবহাওয়া জিরা চাষের জন্য উপযুক্ত। সঠিক পরিচর্যায় সহজেই হেক্টরপ্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ কেজি জিরার ফলন পাওয়া সম্ভব। সুনিষ্কাশিত উর্বর, গভীর এবং বেলে দোঁআশ মাটি জিরা চাষের জন্য উত্তম।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More