আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের বিদ্যাধরপুর গ্রামের আল আমিন হোসেন ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সৌদি আরব পাড়ি দেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দেশে ফেরা হলো না আল আমিনের। জানা গেছে, গত ১৬ অক্টোবর সৌদি আরবেব জের্দ্দায় দেওয়াল চাপায় এ রেমিটেন্স যোদ্ধার মর্মান্তিক মুত্যু হয়। আল আমিন হোসেন (৩৫) আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভাব-অনাটনের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে গত দেড় বছর আগে আল আমিন হোসেন সৌদি আরবেব জের্দ্দায় পাড়ি দেন। বিদেশ যাবার সময় বৃদ্ধ মা ময়না খাতুনকে যে ছেলে বলে গেলো মা তুমি আমার জন্য চিন্তা করো না, ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করবে, শরীরের প্রতি যতœ নেবে। আমি দেশে ফিরে বিয়ে করে তোমার সেই আশা ও স্বপ্ন পূরুণ করবো। প্রিয় মাকে কথা দিয়ে সেই কথা রাখেনি আল আমিন। যে মা বুকভরা আশা নিয়ে ছেলে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলো সেই ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে মা ময়না খাতুন ছেলে হারা শোকে জীবত নয়, মৃত লাশ দেখার অপেক্ষর প্রহর গুনছে। মৃত্যুর ১৬ দিন পার হলেও লাশ দেশে ফেরাতে না পেরে চরম হতাশা, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে পরিবারের সদস্যদের মাঝে। আল আমিন হোসেনের ছোট ভাই রুহুল আমিন জানান, আইনী জটিলতার কারণে লাশ দেশে আসতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আইনী জটিলতা কাটিয়ে তার লাশ দেশে পৌঁছাতে তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.