জাতীয় দিবসসমূহের কর্মসূচি যথাযথ গুরুত্বসহকারে পালনে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৭ মার্চ জাতির জনকের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এবং মহান স্বাধীনতা দিবসের চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতিসভা
স্টাফ রিপোর্টার: মহান স্বাধীনতা দিবস, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান দিবসসমূহ পালনে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে গৃহিত কর্মসূচি পালনে সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনতায় সর্বস্তরের সকলকে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রা তরান্বিত করার লক্ষ্যে সচেতনতা ছড়াতে হবে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দিবসমূহ পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিসভায় এ আহ্বান জানান। প্রস্তুতিমূলক সভার শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৩০ লক্ষ শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আগামীকাল মঙ্গলবার। এ দিবসের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি। সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাসভা। পুরস্কার বিতরণ। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা শিশু একাডেমি সকাল থেকেই শুরু করবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, চিত্রাংকনসহ কুইজ প্রতিযোগিতা। এছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। এ দিবসের পূর্ব রাত থেকে আলোকসজ্জাসহ ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। তার আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে রচনা, কবিতা আবৃতি উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন। শিশুদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও স্থির চিত্র প্রদর্শন। আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে এদিন। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও কালরাত্রি। এ দিবসে স্কুল কলেজ, মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চের গণহত্যার স্মৃতিচারণসহ আলোচনাসভা। ডিসি সাহিত্য মঞ্চেও অনুষ্ঠিত হবে স্মৃতিচারণমূল সভা। এদিন রাতে আলোসজ্জাব থেকে বিরত থেকে রাত ৯টায় সারা দেশে ১ মিনিটের জন্য প্রতীকী ব্লক আউট। এছাড়াও বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। এ দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা। একই সময়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ। সঠিক মাপে ও রঙের জাতীয় পতাকা উত্তোলন। জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দিয়ে শহর সজ্জিতকরণ। সকাল ৮টায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ। এছাড়াও দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনাসহ ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়ে যথাযথভাবে পালনে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
গতকাল অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা গতসভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন। সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কবীর হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর বিপ্লব কুমার শর্মা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিনসহ জেলার প্রায় প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, সদরসহ ৪ উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসারগণ, সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলে উপস্থিত ছিলেন।