স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাস্টার্স পরীক্ষা-২০২০। চলতি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ও পবেশপত্র কিউ আর কোডের মাধ্যমে এক্সজামিনেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার-ইএমএস পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করা হবে। এবারই প্রথমবারের মতো ১২২টি কেন্দ্রে পাইলটিং প্রোগ্রাম চালু করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
গতকাল শনিবার বেলা ১০টায় সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে এক্সজামিনেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার-ইএমএস পদ্ধতি সম্পর্কে পরীক্ষার হল পরিদর্শকদের হাতে কলমে ধারণা দিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আজিজুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়ার বিশেষজ্ঞ সাখাওয়াত হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মামুন-অর-রশীদ, পরীক্ষা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ, সদস্য প্রভাষক এনামুল হক, প্রভাষক বখতিয়ার রহমান, মৌসুফা দুনি এবং কলেজের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এমএ শেষ বর্ষের ছাত্র নাজমুস সাকিব গাজিপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। নাজমুস সাকিব সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি স্মারক নম্বরে, রমনা মডেল থানায় বিস্ফোরক আইন ও তেজগাওঁ মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পরীক্ষা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রশীদ জানান, জেলার একমাত্র মাস্টার্স পরীক্ষা কেন্দ্র সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে ৯টি বিষয়ে ৭০২ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। বেলা ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় পরীক্ষা শেষ হবে। এক মাসব্যাপী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ফোন নিয়ে আসা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আজিজুর রহমান বলেন, ইএমএস নতুন প্রযুক্তি পাইলটিং চলছে। নতুন প্রযুক্তি একটু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে, আমরা ওভারকাম করতে পারবো। এ বিষয়ে শিক্ষকরা ট্রেনিংও করেছে। এবারের মাস্টার্স পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হল পরিদর্শকরা মোবাইল নিয়ে আসতে পারবেন পরীক্ষার কাজের জন্য। তবে মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখবেন। ইএমএস পদ্ধতিতে কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি, অনুপস্থিত ও বহিস্কার কতজন সাথে সাথে জানা যাবে।