স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ মিলনায়তনে এসব অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও মামুন-অর-রশিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় লৌহ গোলক, চাকতি নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, ১০০ মিটার দৌড়, মার্বেল চামচ দৌড়, সূচে সূতা পরিয়ে দৌড়, দীর্ঘ লম্প, ক্যারাম একক, দাবা, উল্টো দৌড়, অংক দৌড়, মিউজিক্যাল চেয়ার ও যেমন খুশি তেমন সাজো অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রাসেল আহমেদ, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আতিকুর রহমান, ক্রীড়া শিক্ষক নাজনীন নাহার এবং শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন, আতিকুর রহমান, কর্মচারী গিনি খাতুন ও রাম সর্দ্দার গান পরিবেশন করেন। কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া, নিশাত তাসনিম-তামান্না জুটি, মায়া-মমতা যমজ বোন জুটি ও রত্না নৃত্য পরিবেশন করেন।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মো. রেজাউল করিম বলেন, ক্রীড়ার মাধ্যমেই পরিচিতি পাওয়া যায়। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের নাম বলতে না পারলেও আর্জেন্টিার ফুটবলার মেসির নাম সবাই জানো। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মেয়েরা কোনদিক থেকে পিছিয়ে নেই। সুস্থ সবল দেহ মনের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আজিজুর রহমান বলেন, কলেজে বড় মাঠ নেই। তবে, যেসকল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছে। আগামীতে ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলা চালু করতে হবে।