বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার কোটালী গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে তিতুদহের বড়সলুয়া গ্রামের আজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে। ঘটনার ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কলেজ ছাত্রীর কোন সন্ধান করতে না পরলেও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আজমুলের মা আছমা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে। কলেজ ছাত্রী রিফাকে অপহরণকারিরা ভাতরে পাচার করে নিয়ে গেছে বলে মেয়ের বাবার শঙ্কা। ফলে উদ্বেগ উদকণ্ঠার মধ্যে প্রতিটি মুহূর্তের মধ্যে দিন কাটছে কলেজ ছাত্রীর মা-বাবার।
মামলাসূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধিন কোটালী গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে দর্শনা কলেজের মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী রিফা তাসফিয়া (১৬)। ১২ মার্চ দুপুরের দিকে রিফা কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে দর্শনা-কোটালী সড়কের শৈলমারী মোড় নামক স্থানে পৌছুলে তাকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায় তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার কুতুব উদ্দিনের ছেলে বিবাহীত আজমুল হোসেন। ঘটনার ২দিন পর মেয়ের কোন প্রকার সন্ধান না পেয়ে রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে আজমুল হোসেন, তার পিতা কুতুব উদ্দিন ও মাতা আছমা খাতুনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামী করে দর্শনা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ কলেজ ছাত্রী রিফাকে উর্দ্ধার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে কলেছ ছাত্রীকে উর্দ্ধার করতে না পারলেও মামলার এজাহার নামি আসামী আছমা খাতুনকে জীবননগরের কর্চাডাঙ্গা গ্রাম থেকে পুলিম গ্রেফতার করে। কলেজ ছাত্রী রিফার পিতা রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে আজমুল তার দাদার বাড়ি ভারতে পাচার করে নিয়ে গেছে। যার কারণে পুলিশ তাদের কোন সন্ধান করতে পারছে না। সে বেঁচে আছে কি মরে গেছে আল্লাহই জানেন। মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই নীতিশ বিশ্বাস বলেন, মেয়েটিকে উর্দ্ধারের সকল চেষ্টা চালানো হচ্ছে। একদিন না একদিন পুলিশের হাতে তাকে ধরা পড়তেই হবে।