স্টাফ রিপোর্টার: ভেঙে যাওয়া সংসার আবারও জোড়া লাগালো চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় জোড়া লাগে তাদের সংসার। মাহাবুল ও তৃষ্ণা দম্পতি নতুন করে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করেন।
পুলিশ জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর মল্লিকপাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে মাহাবুল হকের (৩২) সাথে দুই বছর আগে উপজেলার তারিনীপুর গ্রামের মিরাজ হোসেনের মেয়ে তৃষ্ণা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে মো. আসাদুজ্জামান নামে একটি ফুটফুটে পূত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তার বয়স এখন ৯ মাস। সংসার জীবন কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। যার প্রেক্ষিতে গত বছরখানেক আগে মাহাবুল তার স্ত্রী তৃষ্ণাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ইতোমধ্যে তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে চলমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌছায় যে, গত একমাস আগে তাদের মধ্যে বিবাহ্ বিচ্ছেদ ঘটে।
এ অবস্থায় তৃষ্ণার মা তার নাতি ছেলে আসাদুজ্জামানের ভবিষ্যৎ জীবনের বিষয় অনুধাবন করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুুলিশ সুপার অভিযোগটি তার কার্যালয়ে অবস্থিত উইমেন সাপোর্ট সেন্টার এ কর্মরত এএসআই বিভা রানী প্রামানিককে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থাতায় মাহাবুল হক ও তৃষ্ণা খাতুন দম্পত্তি পুনরায় সংসার করতে রাজি হয়ে নতুন কে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তারা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করতে আসেন। এসময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খুশিতে আবেগ আপ্লুত হন এবং ফুটফুটে শিশু আসাদুজ্জামানকে ঈদ উপহার হিসেবে ১ হাজার টাকা ও একটি মগ প্রদান করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের কল্যাণে তাদের পুত্র আসাদুজ্জামান ফিরে পেলো তাদের বাবা-মাকে এবং তারা নতুন করে ফিরে পেলো একটি সুখের সংসার।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ