চুয়াডাঙ্গায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া তরুণী পুলিশ হেফাজতে দিলো এসএসসি পরীক্ষা : অবশেষে ধর্ষণ মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া এক এসএসসি শিক্ষার্থী পুলিশ হেফাজতে থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং পুলিশ হেফাজতে থেকে ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষা দেয় সে। এর আগে সোমবার গণিত পরীক্ষা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়ার প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে ওঠে সে। রাতে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। ওই রাতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করে ওই তরুণী। মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার পর ওই পরীক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। পরে তার বড় ভাইয়ের জিম্মায় দেয়া হয় তাকে। বিষয়টি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুক গড়গড়ি গ্রামের নয়ন আলীর ছেলে নাঈম হোসেন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে দামুড়হুদা উপজেলা এলাকার এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে। ওই স্কুলছাত্রী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। সোমবার ওই পরীক্ষার্থী জানতে পারে নাঈম হোসেনের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। সে গণিত পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে নাঈম হোসেনের বাড়িতে আসে এবং বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে উৎসুক জনতা ওই ছাত্রীকে ঘরের ভেতরে তুলে দেয়। পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করলেও ওই শিক্ষার্থী বাড়ি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা আসেন এবং দু’পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়। শেষমেশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই তরুণী বাদী হয়ে নাঈম হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই তরুণী জানায়, গত তিন বছর ধরে তার সঙ্গে নাঈমের প্রেমের সম্পর্ক। শারীরিক সম্পর্কও করেছে সে। এখন সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করছে, এটা মানা যায় না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, ‘সোমবার রাতে ওই তরুণী ধর্ষণ মামলা করেছে। মঙ্গলবার পুলিশ পিকআপযোগে তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নেয়া হয় এবং পুলিশ হেফাজতে থেকেই সে ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষা দেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরে তার বড় ভাইয়ের জিম্মায় তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই নাঈম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More