চুয়াডাঙ্গায় পাস’র উদ্যোগে ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠানে টোটন জোয়ার্দ্দার
ছাগল পালনের মাধ্যমেও নারীদের অর্থনৈতিক সাবলম্বী করা সম্ভব
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় হতদরিদ্র নারীদের মাঝে ছাগল পালন প্রশিক্ষণ শেষে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ করা হয়। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (পাস) চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন-বিএনএফ’র সহযোগিতায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আওতায় পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (পাস) এ ছাগল বিতরণ করেন। শঙ্করচন্দ্র ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত মাহামুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। এ সময় তিনি বলেন, দেশের জনগোষ্ঠির অর্ধেক নারী, তাই নারীদের পেছনে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারী শিক্ষার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের জন্য ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচি, মাতৃত্বকাল ভাতা, বিধবা ভাতা প্রদান করে যাচ্ছে। নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বিনামূল্যে বইসহ উপবৃত্তি প্রদান করছেন। সরকারি চাকরিতে নারীদের কোটা পদ্ধতি চালু করে নারীদের গিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মুখের কথায় নারীদের ক্ষমতায়ন করা সম্ভব নয়। নারীদের ক্ষমতায়ন করতে হলে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নারীদের অর্থ ও বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সরবরাহ করে যাচ্ছেন। পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (পাস)’র নিকট হতে আপানারা যে ছাগল পেলেন এ ছাগল আপনাদের। কেউ ছাগল ফেরত নেবে না। এ ছাগলগুলো সঠিকভাবে পালন করলে এ সকল নারী পরিবারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এমনকি যাদের নিজস্ব জমি নেই ২ বছর ছাগল পালন করে তা বিক্রি করে গরু কিনে পান করে বিক্রি করলে ঘর নির্মাণের জন্য নিজস্ব জমি কিনতে সক্ষম হবে। এ ছাগলগুলো কমপক্ষে ২ বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না। ছাগল পালন করে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ভেটেরিনারী অফিসার ডা. মো. আনিসুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (পাস)’র নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন। শেষে প্রধান অতিথি ও অতিথিবৃন্দ মাখালডাঙ্গা ও কুকিয়াচাঁদপুর গ্রামের ৭জন দুস্থ নারীকে দুটি করে ১৪টি ছাগল প্রদান করেন।