স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়ায় জমিজমা লিখে না দেয়ায় দফায় দফায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কাঙ্গাল আলী নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে জখম করেছে তার ভাতিজা সাইফুল ইসলাম। এসময় তার স্ত্রী আছিয়া খাতুন ঠেকাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আলুকদিয়া ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মনিরামপুর গ্রামের মাস্টারপাড়ার মৃত কায়েম আলীর ছেলে কাঙ্গাল আলী (৬০) ও তার স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৫০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দাম্পত্য জীবনে কোনো সন্তানাদি হয়নি কাঙ্গাল আলী ও আছিয়া দম্পতির। এতে কাঙ্গাল আলীর আপন ভাই কেশব আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের নজর পড়ে জমাজমির ওপরে। জমিজমা লিখে দেয়ার জন্য নিঃসন্তান দম্পতিকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন সাইফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আছিয়া খাতুনকে বেধড়ক মারধর করে সাইফুল ইসলাম, তার বোন বন্যা খাতুন ও তার মা সহিরণ বেগম।
বিকেলে কাঙ্গাল আলী বাড়ি এলে তার স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি জানতে পারেন। তখনই মারধর কেনো করা হলো জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম আবারো তাদের মারধর করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র হেঁসো দিয়ে মাথায় কোপ মারে কাঙ্গাল আলীর। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুজনকে উদ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস বলেন, কাঙ্গাল আলীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের জখম আছে। সেখানে সেলাই প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আছিয়া খাতুনের শরীরে মারধরের আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কাঙ্গাল আলীকে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহাসিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় আহতের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।