স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় রুপা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তারই স্বামীর বিরুদ্ধে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রুপা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ি গ্রামের আকমল হোসেন সুজনের স্ত্রী। আহত রুপা খাতুন বলেন, ৪ বছর পূর্বে আমাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আমাকে নির্যাতন করতো স্বামী আকমল। নিজের টাকায় তাকে একটি মোটরসাইকেলও কিনে দিয়েছি আমি। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের আব্দুল্লাহ সিটিতে আমার নিজস্ব টেইলার্সের দোকান ছিলো। বেশ কিছুদিন আগে আমাকে ফুঁসলিয়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে দোকানের পজিশন বিক্রি করি। সেই টাকা আমার স্বামী নিয়ে নেই। গত পরশু বৃষ্টির মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনে থেকে একটি ইজিবাইকে উঠি। এসময় ইজিবাইকে থাকা আমার স্বামীর বোনাই শাহীন আমাকে মুখ চেপে ধরলে আমি অজ্ঞান হয়ে যায়। কোথাই নিয়ে গিয়েছিলো আমিও জানিনা। গতকাল সকালে আমার স্বামীসহ তার দুই ভাই মন্টু, সজিব ডিভোর্স পেপারে সই করতে বলেন। আমি রাজি না হওয়ায় দিনভর আমাকে বেধড়ক মারধর করে। বিকেলে আমাকে একটি বাসে তুলে দেয় তারা। আমি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় অসুস্থ হলে পড়ি। পরে এক ব্যক্তি আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। উদ্ধারকারী ব্যক্তি বলেন, অচেতন অবস্থায় ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। কি ঘটেছে আমি জানি না। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ওই নারীর শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহব্বুর রহমান বলেন, স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি জেনেছি। তাকে দেখতে সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ওই স্বামীর বিরুদ্ধে আলাদতে যৌতুক মামলা চলছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।