স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার অতি পরিচিত মুখ সংবাদপত্র এজেন্ট সিদ্দিক আলী খাঁন লাটু আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…..রাজেউন)। গত শনিবার দিনগত রাত ৩টা ৪০মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল রোববার বাদ জোহর চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন গোরস্তান জামে মসজিদে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। লাটু খাঁন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬২ বছর।
লাটু খাঁনের জানাজা ও দাফনকার্যে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এ সময় তিনি বলেন, ‘লাটু খাঁন ছিলেন আমার খুব কাছের প্রিয় একজন মানুষ। তিনি যেমন সদালপী হাস্যোজ্জ্বল মানুষ, তেমনি ছিলেন অমায়িক ভালো মনের মানুষ। সকলের সাথে হেসে কথা বলতেন। সফল এ ব্যবসায়ী ছিলেন রাজনীতি সচেতনও। তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়। তার অনুপস্থিতি সবসময় অনুভব করবো।’
দাফনকার্যে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক স্বপনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।
সিদ্দিক আলী খাঁন লাটুর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। লাটু খাঁনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, স্থানীয় দৈনিকের প্রকাশক অ্যাড. তছিরুল আলম মালিক ডিউক, সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়া নিশি, প্রকাশক আজাদ মালিতা, সাহিত্য পরিষদের সাবেক সভাপতি তৌহিদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামসহ অন্যরা।
চুয়াডাঙ্গা শহরের জিনতলা মল্লিকপাড়ার মৃত কুদরত আলী খাঁনের ৯ সন্তানের মধ্যে সিদ্দিক আলী খাঁন লাটু ছিলেন চতুর্থ সন্তান। জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন একজন সফল পত্রিকা ব্যবসায়ী। প্রায় ৪৫ বছর ধরে এক হাতে সামাল দিয়েছেন পরিবার থেকে পাওয়া পত্রিকার এজেন্ট ব্যবসা। পাশাপাশি তিনি ছিলেন আদর্শবান রাজনীতিক। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি জেলা কৃষক লীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমেও তিনি থাকতেন প্রথম সারিতে। মৃত্যুকালে লাটু খাঁন স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জিসান আহমেদের নানা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ