বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার তেঘরি গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক স¤্রাটের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে স্বামী পরিত্যক্তা নারী ফারহানা খাতুন। অবস্থা বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিক স¤্রাট। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নারীটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে গড়াইটুপি ইউনিয়নে টপ অবদি ভিলেজে পরিণত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ঘরে স্ত্রী রেখে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিতুদহ ইউনিয়নের গোলাপনগর গ্রামের মুশরের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে দু’সন্তানের জননী ফারহানা খাতুনের সাথে। ফারহানা অভিযোগ করে বলেন, সম্রাট তার স্ত্রী অসুস্থ এই কথা বলে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং আমার মা-বাবাকেও বলে। আমি তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসি। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিতে তারই বন্ধু গহেরপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রী তরিকুলের মাধ্যমে আমাকে রাতে তার বাড়িতে নিয়ে যেতো। সেখানে তার ঘরের ছাদে আমার সাথে দৈহিক মিলন করতো। এভাবে তরিকুলের দিয়ে কয়েকদিন তার বাড়িতে নিয়ে গেছে। এখন বিয়ের কথা বললে, সে টালবাহানা শুরু করে দিয়েছে। তার কথামতো আমি সবকুল হারিয়েছি। এদিকে অবস্থা বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিক স¤্রাট। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিয়ের দাবিতে ফারহানা স¤্রাটের বাড়িতে গিয়ে উঠলে ভিড় জমাতে থাকে গ্রামের লোকজন। একপর্যায়ে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মেয়েটির মুখে বিস্তারিত শোনেন। অপ্রীতিকর কোনোকিছু এড়াতে মেয়েটিকে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যর জিম্মায় তুলে দেয় পুলিশ। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, স¤্রাট গা ঢাকা দিলেও তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি ৫০ হাজার টাকায় মিমাংসা করে নিতে চাইছে।
তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের টুআইসি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মেয়েটি বর্তমানে এক মেম্বারের বাড়িতে আছে। আইনের আশ্রয় নিলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অপরদিকে তরিকুল বলেন, স¤্রাট আমার ভালো বন্ধু ঠিক আছে, তবে মহিলার অভিযোগ সত্য না। বিষয়টি জানাজানি হবার পর থেকে স¤্রাটের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।