স্টাফ রিপোটার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়নে জীবনা গ্রামে দুই সন্তানের এক জননী শ্যামলী খাতুনকে (২৫) ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তার পিতার বাড়ি জীবনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়নে জীবনা গ্রামের আব্দুল বারীকের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা শ্যামলী নামক দুই সন্তানের এক জননীর দলবেঁধে একই গ্রামে অবের আলীর দুই ছেলে সোহাগ (৩০) ও সোহেল (২৫) এবং একই গ্রামে খোকনের ছেলে শিমুল (২৫), সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে ইকরা (৪৫), মৃত তোতা মিয়ার ছেলে ময়নদ্দীনসহ আরও অনেকই জমিজমা সক্রান্তে পূর্বের জের ধরে বারিকের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে বারিকের মেয়ের ধর্ষণের উদ্দেশ্যে গিয়ে ডাকাডাকি করলে, মেয়ে শ্যামলী খাতুন ঘরের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এই বিষয়ে দুই সন্তানের জননী শ্যামলী খাতুন জানান, আমার বিয়ে হয় এবং অনেক আগে পারিবারিকভাবে আমাদের ডিভোর্স হয়। বর্তমান আমি দুই সন্তান নিয়ে আমি পিতারবাড়ি থাকি, আমাদের গ্রামে সোহাগ, সোহেল, শিমুল, ইকরা ও ময়নদ্দীনসহ আরও অনেকে গত ১৯ তারিখে রাতে আমাদের বাড়িতে আমার বাবাকে ডাকা ডাকি করে। আমার বাবা ঘুমিয়ে পড়লে তিনি আসতে পারেনি। এজন্য আমি বাইরে বেরিয়ে আসি, বাইরে বেরিয়ে আসতে আমাকে কিছু না বলে, জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান, আমাকে আমার ওড়না কেড়ে নিয়ে আমার দু’হাত বেঁধে আমি ওই সময় আমি চিৎকার করলে আমার বাবা ও মা বাইরে বেরিয়ে আসে, বাইরে বেরিয়ে আসলে আমার মা ও বাবাকে মারধর করে, পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তার পালিয়ে যায়। আমার বাবা আহত হলে ওই রাতেই উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দুই সন্তানের জননীর বাবা বারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার সাথে জমিজমা সক্রান্ত নিয়ে পূর্বের জের ধরে আমাদের গ্রামে সোহাগ, সোহেল,শিমুল, ইকরা আরো অনেকই, আমার মেয়ে শেমলী খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা দুই সন্তানের জননীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান, ওই সময় আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার সহধর্মিণীকে লাঠি দিয়ে বেধড় মারপিট করে, এতে আমার হাতে লাঠিদিয়ে আঘাত করলে আমার বাম হাতটি ভেঙে যায়, স্হানিয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এবিষয়ে আমি ও আমার মেয়ে সহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ আমাদের কোন অভিযোগ আমলে নেয় না আমার মেয়ে ও সহধর্মিণীকে নিয়ে বাড়িতে থাকায় বড় মুশকিল হয়ে পড়েছে, বিষয়টি চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মহাদয় খতিয়ে দেখবে বলে মনে করছি।