স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ছোটসলুয়া গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে পণ্ড হয়ে গেছে। সেই সাথে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে জয়তন (১৩)। অপরদিকে প্রশাসের উপস্থিতি টের পেয়ে বড়সলুয়ার আলোচিত কাজী আবুবক্কর দিয়েছেন ভৌ-দৌঁড়।
গ্রামসূত্রে জানাগেছে, বাল্যবিয়ে অপরাধ জেনেও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটসলুয়া গ্রামের ফার্মপাড়ার খোরশেদ আলী তার মেয়ে জয়তুন খাতুনের (১৩) বিয়ের আয়োজন করে বোনের ছেলে মহেশপুরের খালিশপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে আবুল হোসেনের সাথে। সবকিছু চলছিলো ঠিকঠাক। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পরপরই কাজীসহ বরপক্ষ হাজির। চলছিলো খাওয়া দাওয়া। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়ার নির্দেশে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার ও চৌকিদাররা সদলবলে হাজির। বিয়ে করতে আসা বরপক্ষ এবং দাওয়াতি মানুষজন অর্ধ খাওয়া ফেলে যে যার মতো করে সটকে পড়ে। মাইক্রোবাসে আসা বরপক্ষের লোকজনের পিছু ধাওয়া করলেও তাদেরকে ধরতে পারেনি দফাদার ও চৌকিদাররা। একই গ্রামের ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিয়ে নিয়ে যখন বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ঠিক তখনই একই মহল্লায় আয়োজন করা হয়েছে ১৩ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ের আয়োজন। এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কাজীরা এখন আর দিনে বিয়ে পড়ান না। প্রায় কাজী এখন রাতে কাজী হয়ে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের পৈতৃক সূত্রে কাজীর দায়িত্ব পাওয়া আবুবক্কর একের পর এক বাল্যবিয়ে পড়িয়েই চলেছেন। তিনি বাল্যবিয়ে পড়ালেও কোনো প্রমাণ রাখেন না। সাদা কাগজে লিখে রাখেন। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে দ্বিতীয় দফায় মোটা অংকের টাকা নিয়ে তারিখ ঠিক রেখে বিয়ের কাবিননামা তুলে দেন ছেলে ও মেয়েপক্ষের হাতে। কাজী আবু বক্করের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের। তাই যেখনেই বাল্যবিয়ে হোক তথ্য পেলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।