কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কেরু অ্যান্ড কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনছার উদ্দীন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে….রাজেউন) । গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর। গতকালই রাত ৯টার দিকে নামাজের জানাজা শেষে কুড়–লগাছি কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার উদ্দীন কুড়–লগাছি ইউনিয়নের কুড়–লগাছি পুকুরপাড়ার মৃত তাবারক হালসোনার ছোট ছেলে। তিনি তিনবার স্ট্রোক করেন ও দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে আবারো স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। পরিবারের লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার উন্নতি না হলে পরিবারের লোকজন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে আসে গত সোমবার। তিনি কিডনি ও লিভার এবং হৃদরোগে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নিজবাড়িতেই ইন্তেকাল করেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৫টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম। এরপর তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানার এসআই শামিম রেজা। এছাড়া সেখানে মরহুমের সহযোদ্ধাদের মধ্যে শ্রদ্ধা জানান দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তমছের আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম ফিটটু, আলাউদ্দীন, সিরাজুল ইসলাম, নুরে সালাম, লুৎফার রহমান, এরশাদ আলী, মশিউর রহমান, আলতাফ হোসেন ও আব্দুর রহমান। এছাড়া কুড়–লগাছি ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের একদল চৌকস পুলিশ তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গতকালই রাত ৯টার দিকে নামাজে জানাজা শেষে কুড়–লগাছি কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।