গাংনীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের তিনভাইকে হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন
নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার লক্ষ্মীনারায়নপুর ধলা গ্রামের একই পরিবারের তিনভাইকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকেলে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করেন এলকাবাসী ও নিহতের পরিবার। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুলের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত জাহারুল ইসলামের মেয়ে চম্পা আরা খাতুন, এলাকাবাসী কামরুজ্জামান পল্টু, দিপ্তি, এনামুল হকসহ স্থানীয়রা।
বক্তব্যে এলকাবাসী জনায়, ধলা গ্রামের আতিয়ার রহমান ও তার লোকজন একের পর এক একই পরিবারের এনামুল হক লইলো, জাহারুল ইসলাম ও সাহাদুল ইসলামকে প্রকাশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করে। ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই লইলো মিয়াকে খুন করে আতিয়ার ও তার লোকজন। এ বিষয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আতিয়ার রহমান। উক্ত মামলা তুলে নিতে মামলার বাদি আজমাইন হোসেন টুটুলকে হুমকি দেয় আতিয়ার গং। মামলা তুলে না নেয়ায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আতিয়ার গং জামিনে থেকে গত ৮/১১/২০২১ ইং তারিখ সকাল ৯টায় দুই ভাই জাহারুল ইসলাম ও সাহাদুল ইসলামকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের হলে ৬৬ জন আসামির মধ্যে কয়েকজন আসামি গ্রেফতার হয়। পরে হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিন নেয় ৫৬ জন। ৪ সপ্তাহের জামিন সময় পার হলে মেহেরপুর নি¤œ আদালতে আতœসমর্পন করেন তারা। মামলার ৫৬ আসামি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
নিহত জাহারুলের স্ত্রী শেফালী বলেন, আমার স্বামীকে হত্যার পর তারা আমাদের গ্রাম ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন নিরাপত্তহীনতায় দিন কাটায়। নিহত সাহাদুলের স্ত্রী জামিরন নেছা বলেন, আমার স্বামী ও দুই দেবরকে খুন করে আতিয়ার ও তার লোকজন। যে কোনো সময় আমাদের ওপর আবারও হামলা করতে পারে। আমাদের পরিবারের পর্যায়ক্রমে তিনজনকে একের পর এক খুন করে তারা গ্রামে বুক উচিয়ে বেড়ায়। তারা আমাদের বংশের কাউকে বাঁচিয়ে রাখবে না বলেও হুমকি দেয়। আমরা আমাদের পরিবারের লোকজনকে আতিয়ার বাহিনীর হাতে রক্ষা করতে পারছি না। তারা দুর্ধর্ষ বলে এলাকার কেউ তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পারে না। যারা আমাদের পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি করেন নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী।