মাজেদুল হক মানিক: মেহেরপুর জেলার হাটগুলোতে গবাদিপশুর দর পতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পালনকারী ও ব্যবসায়ীরা। লকডাউনে বাইরের জেলা থেকে কোনো ব্যবসায়ী আসছেন না। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল আমদানি হলেও ক্রেতার সংখ্যা সীমিত। ফলে কাক্সিক্ষত দাম মিলছে না। গরু প্রতি ২০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মেহেরপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার মধ্যে অন্যতম বড় পশুহাট হচ্ছে গাংনী উপজেলার বামন্দী-নিশিপুর পশুহাট। গতকাল সোমবার হাটে পর্যাপ্ত গরু ছাগল নিয়ে আসেন ব্যবসায়ী ও পালনকারীরা।
গরু পালনকারী বাওট গ্রামের আসাদুল ইসলাম জানান, আমি একটি গরু বিক্রির জন্য এনেছি। গরুটির ন্যায্যমূল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু ব্যাপারীরা ৮০ হাজার টাকার ওপরে দর দিচ্ছে না। তাই গরুও বিক্রি করতে পারছি না।
শুকুরকান্দি গ্রামের গরু ব্যাপারী আনোয়ার হোসেন বলেন, হাটে আজ তেমন কোনো ব্যাপারী নেই। ঢাকা ও অন্যান্য জেলা থেকে কোনো ব্যাপারী আসছেন না। স্থানীয় ব্যাপারীরাও ন্যায্য দর দিয়ে গরু কিনছেন না।
বামন্দী-নিশিপুর পশুহাট ইজারাদার আব্দুল আলিম বলেন, প্রতি হাটে ১২শ থেকে ১৪শ গরু ছাগল কেনাবেচা হয়। আজ হয়েছে দেড়শ মতো। গরু পালনকারী ও ব্যাপারীদের মতোই ইজারাদাররাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
গরু পালনকারীরা জানান, গত বছরের লকডাউনে এ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিলো। তা কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন করে তারা গরু পালন শুরু করেন। কিন্তু আবারও লকডাউনের কারণে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। মেহেরপুর জেলার উদীয়মান অর্থনীতিতে গবাদিপশু পালন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই এ খাত টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন গরু পালনকারী ও ব্যাপারীরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ