খোশ আমদেদ মাহে রমজান
।। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউসুফ আলী।।
আজ ৭ রমজান। রহমত দশকের সাতটি দিন চলে গেল। মাহে রমজান রহমত ও মাগফেরাতের মাস। মাগফেরাত অর্থ ক্ষমা। এই মাস মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মাস । ভুলত্রুটি করে না এমন মানুষ দুনিয়াতে নেই। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে দিলো থেকে গোনাহ মাফের দোয়া করা। তাহলে মহান আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন আমাদের সমুদয় গোনাহ মাফ করে দিবেন। আমরা যতো বড় পাপিই হই না কেন আল্লাহ তা’য়ালার রহমত হতে নিরাশ হওয়া উচিত নয়। কারণ, আল্লাহ জাল্লা শানুহ এরশাদ করেন, আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন (সুরা যুমার: আয়াত ৫৩)। এই পূণ্যময় মাসে আল্লাহপাক বান্দাদের মাফ করে থাকেন এবং দোয়া কবুল করেন। এক হাদিসে প্রিয় নবী এরশাদ করেন, রমজানের প্রতি দিবারাতে জাহান্নামের কয়েদীদেরকে মুক্তি দেয়া হয় এবং প্রতি দিবারাতে মুসলমানের একটি দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয় (তারগীব)। রমজানে এই দোয়া আমরা বেশি করতে পারি: লা ইলাহা ইল্লাল্লহ, আসতাগফিরুল্লহ, নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া না’উযুবিকা মিনান্নার। অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই। হে আল্লাহ, আপনার কাছে আমরা মাগফেরাত ও জান্নাত চাচ্ছি এবং জাহান্নামের আগুন থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আরও একটি দোয়ার কথা হাদিসে এসেছে। তা হল, ইয়া ওয়াছি’আল ফাদলি, ইগফিরলী। অর্থ, হে প্রশস্ত রহমতের মালিক, আমাকে মাফ করে দাও। রমজান মাসে সব সময়ই দোয়া কবুল হয়, তবে দোয়া কবুলের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ইফতারির ঠিক আগ মুহূর্ত বলে হুজুর (সা.) উল্লেখ করেছেন। কারণ, এক হাদিসে রাসুলে কারীম (সা.) এরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ হয় না। এক. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া। দুই. ন্যায় বিচারক বাদশাহের দোয়া। তিন. মজলুমের দোয়া (আহমদ)। রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস। আমরা যদি সবাই মিলে এই মহিমান্বিত মাসে মহান আল্লাহর কাছে মাফ চায় তাহলে তিনি আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দিতে পারেন।
(লেখক: মৎস্য বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়)