কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে পাল্টাপাল্টি মামলা করছেন দুজন। ঘটনা নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে নানা কৌতুহল।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের কুশনা দোয়ার পাড়া গ্রামের মৃত গোলাম রসুলের ছোট মেয়ে সেলিনা খাতুন (২৪)। তিনি খুলনা নার্সিং ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া চলাকালীন সময় একই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের মেজ ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য কিবরিয়া বিপ্লবের (৩৮) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে লেখাপড়াসহ যাবতীয় খরচ দিতে থাকেন প্রেমিক বিপ্লব। এরই মধ্যে খুলনায় পড়াকালীন সময়ে সেলিনা আরেকটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বিপ্লব জানতে পেরে সেলিনাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে সেলিনাকে বিপ্লব বিয়ে করে। এরই মধ্যে তাদের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরপর বর্তমান স্বামী বিপ্লবের টাকা ফেরৎ দেয়ার শর্তে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার কল্যাণশ্রী গ্রামের রফিকুল শেখের ছেলে প্রেমিক এসএম ফয়সালের কাছে ফিরে যায় সেলিনা। এই টাকা বিপ্লবকে ফেরত দেয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করে। নিজের স্ত্রীকে ফেরৎ পেতে থানায় জিডি ও আদালতে মামলা করে। এরই মধ্যে প্রেমিকা সেলিনা তার প্রাক্তন প্রেমিক ও স্বামী বিপ্লবকে ডিভোর্স দেয়। বিয়ে করেন বর্র্তমান প্রেমিক এসএম ফয়সালকে। কিন্তু যে কোন শর্তে স্ত্রী পেতে অনড় বিপ্লব। অপরদিকে ফয়সল ও সেলিনা বাদী হয়ে ৪টি মামলা করেছে বিপ্লবের বিরুদ্ধে। যা সিনেমার গল্পকে হার মানিয়েছে।
এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব জানান, আমার মান-সম্মান তো সব শেষ করে দিয়েছে। আমার নামে ৪টি মামলা দিয়েছে আবার লক্ষ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। তারপরও যদি সেলিনা ফিরে আসে তাহলে তাকে গ্রহণ করবে বলে জানান।
এ বিষয়ে এসএম ফয়সাল জানান, আমার পছন্দের মেয়েকে ব্লাকমেইল করে বিয়ে করে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে তার দেনা পাওয়া সব বুঝিয়ে দিয়ে আমার কাছে নিয়ে এসেছি। প্রতারণা করাসহ নানা বিষয়ে আমরা স্বামী-স্ত্রী মামলা করেছি। এদিকে সেলিনার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.