স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়নের কাগমারী গ্রামে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সাবেক ছাএলীগ কর্মী ও প্রবাসীর উপর মাদক সন্ত্রাসীদের হামলা হয়েছে। ২১শে এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৭.৩০ মিনিটের সময় কুয়েত প্রবাসী এনামুল হক অত্র উপজেলার কাগমারী গ্রামের আতিয়ারের মুদি দোকানের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। মাদক সেবনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। তখন এনামুল হক গালি গালাজের কারন জিজ্ঞাসা করলে মাদক ব্যবসায়ী ওয়াজ উদ্দিন (৩৯) পিতাঃ মৃতঃ ধনু মিয়া। আমাাকে কিল ঘুসি লাথি মারে। বেদনাদায়ক জক্ষম করে। এনামুল হক পালাইতে চাইলে মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগী জালাল উদ্দিন (৩০) পিতাঃ মৃতঃ বাচ্চু মিয়া। আমাকে মারধর করে। আমার চিৎকার শুনতে পেয়ে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে। আমাকে ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ জন্য আমি কোটচাঁদপুর থানায় একটি অভিযোগ করি। এনামুল হক আরও জানান, মাদকাসক্ত ওয়াজ উদ্দিন ও জালাল উদ্দিনের সেল্টার দেয় জহির পিতাঃ মৃতঃ ফরিদউদ্দিন, সাইদুল পিতাঃ মৃতঃ কাশেম। এরা নিয়মিত মাদক সেবন ও বিক্রী করে বলে জানান। বর্তমানে যেখানে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। তিনি আর জানান, একই গ্রামের আজিজুল, পিতাঃ শহিদুল ইসলাম, মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসে মাদক। বর্তমানে এ ঘটনায় এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি একই গ্রামের করোনা ভাইরাসের কারণে ছুটিতে বাড়িতে আসা জাহাজের নাবিক নাহিদ হাসান মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকেও মারধর করে, এবং প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে তারা। তিনিও কোটচাঁদপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, এ মাদক সেবনকারীদের মদত দাতা জহির ও সাইদুর বলুহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের লোক। এ ঘটনায় বলুহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের কাছে বিষয়টি মুঠো জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার বাড়ি ফুলবাড়ি গ্রামে হলেও কাগমারী গ্রামে আমার অবস্থান ভালো। তারা আমার বন্ধু মানুষ যদি মাদকের সাথে যুক্ত থাকে তাহোলে আইনি ব্যাবস্থা অবশ্যই নিবেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
সামাজিক দূরত্ব মেনেই আলমডাঙ্গা ইজিবাইক চালকদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ