দর্শনা অফিস: কেরুজ উৎপাদিত ফরেন লিকার ও বাংলা মদ সাধারণত এলাকায় বিক্রি হয় না বৈধভাবে। একজন মাত্র বিক্রয় প্রতিনিধি থাকলে তার ভাটিখানায় শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী হরিজন, বাগদি, মুচি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যের কাছেই বিক্রির বিধান রয়েছে। এ অঞ্চলে ফরেন লিকার বিক্রির কোনো কেন্দ্র নেই। অথচ অহরহ পাওয়া যাচ্ছে কেরুজ আবাসিক এলাকায়। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দীর্ঘদিন এ কারবার করলেও তাদের নাগালের বাইরে যেনো প্রশাসন। অভিযোগ উঠেছে, চক্রের হোতা হাফিজুল, কুটি বাবু, ইসমাইল ও শামীমসহ রয়েছেন ৫ সদস্যের সক্রিয় সিন্ডিকেট। সপ্তাহ খানেক আগে মদ বিকিকিনি ধান্দা আরো বাড়াতে কেরুজ সিজিনাল ব্যারাকে করা হয় ভুরিভোজের আয়োজন। ওই আয়োজনে নিমন্ত্রিত ছিলো কেরুজ মদ বহনকারী ট্রাক ও কাভার ভ্যানের চালক-হেলপাররা। সূত্র থেকে জানা গেছে, কেরুজ উৎপাদিত ফরেন লিকার ও বাংলা মদ বিক্রির কেন্দ্র রয়েছে কমপক্ষে দেশের ২২-২৩টি জেলায়। পরিবহনে মদ বহনকারীদের বিভিন্ন ওয়ারহাউজ ও ফরেন বিক্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে বকশিশ স্বরুপ মদ দেয়া হয়ে থাকে। সে মদ চালক ও হেলপাররা যাতে অন্যত্র বিক্রি না করে ওই সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে সে লক্ষ্যেই তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করণ করা হয় ভুরিভোজের আয়োজনে। জনৈক চালকের কাছ থেকে জানা গেছে, তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে প্রশাসনিক সকল ঝামেলার মোকাবেলা করবে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ওই সিন্ডিকেটের সদস্য নকল ফরেন লিকার তৈরী করেও মদ্যপদের কাছে বিক্রি করছে দীর্ঘদিন। যা পানে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী দাবী তুলেছে, দ্রুত সিন্ডিকেটের সকল সদস্যকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য।