কুষ্টিয়ার মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের শাকিলের নারী কেলেঙ্কারী
স্টেশন অফিসারের মধ্যস্থতায় ৫ লাখ টাকায় ঘটনাটি রফা
মিরপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অফিসের ফায়ারম্যান শাকিল এক কলেজপড়–য়া মেয়ের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ফেঁসে গেছেন। পরবর্তীতে মেয়ে ও তার মা-বাবাসহ মিরপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসে বিয়ের দাবিতে অনশন করলে মিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার রুহুল আমিনের মধ্যস্থতায় ৫ লাখ টাকায় রফা হয়েছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিলম্বপ্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের চক গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের মেয়ে আমলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সাথে গত দুই বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিলেন। একপর্যায়ে তার প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে শাকিল বিয়ে করবে না মর্মে সাফ জানিয়ে দেন। এরপর গত ৮ জুন মেয়ে ও তারা বাবা-মাসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন মিরপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসে হাজির হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্টেশন অফিসার রুহুল আমিন তার সরকারি অফিসে তাদের সাথে আলোচনায় বসে। আলোচনার একপর্যায়ে মেয়ের অভিভাবকদের ৫ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করে ৩শ’ টাকার স্ট্যাম্পে লেখাপড়া হয় এই শর্তে ভবিষ্যতে কোনোদিন প্রেম বা বিয়ের দাবী নিয়ে শাকিলের মুখোমুখি হতে পারবে না এবং বিষয়টি কাউকে জানানো যাবে না। তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে, এ ঘটনার পরই শাকিল বিয়ে করবে মর্মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে কিন্তু তার বয়স ১৮ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয় না। পরে গোপনে ঘটনার তিনদিন পর গত ১২ জুন দুপুরে বারুইপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম চুনিয়াপাড়া (নওপাড়া বাজারের পাশে) গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন মিজা ডাক্তারের মেয়ের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। সরকারি বিধিমোতাবেক এই মহামারী করোনা চলাকালীন সময়ে কোনো স্টাফদের স্টেশন ত্যাগ না করার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু শাকিল নিয়মের তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশিমতো যখন তখন প্রেমিকার সাথে দীর্ঘসময় কাটিয়েছে। অন্যদিকে স্টেশন ত্যাগ করে সদ্য নব-বিবাহিত স্ত্রীর সাথে শ্বশুর বাড়ীতে রাতে নিয়মিত অবস্থান করছে। পাশাপাশি বিয়ের বয়স না হওয়ার পরও কিভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেস বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন এমনটি দাবী করছেন এলাকার সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহা-পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল’র সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসার রুহুল আমিনের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটির সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না এবং আমার কোনো মধ্যস্থতায় লেনদেন হয়নি। অন্যদিকে শাকিলের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, ঘটনা একটা হয়েছে। আমি কাছের কয়েকজনের সাথে আলাপ করার পর আপনার সাথে সামনাসামনি কথা বলবো।