পটুয়াখালীর বাউফলের সেই ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদারসহ 7 জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় সালিশে পছন্দ হওয়ায় কিশোরী মেয়েকে জোর করে বিয়ে, পরে তালাক দেওয়া এবং কিশোরীর প্রেমিক রমজান হাওলাদারকে মারধর ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রমজান হাওলাদারের বড় ভাই মো. আল ইমরান বাদী হয়ে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলি আদালতে মামলাটি করেন। বিচারক মো. জামাল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
অন্য আসামিরা হলেন, শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, পলাশ হাওলাদার, সুজন হাওলাদার, নূরুল আমিন বাবু, আবু সাদেক ও মো. আইয়ুব। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আল-আমিন বলেন, অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। মেয়েটি নাবালিকা জেনেও তিনি জোর করে বিয়ে এবং রমজানকে হত্যার উদ্দেশে মারধর করেন। পরে বিষ খাইয়েও হত্যার চেষ্টা চালান। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে চেয়ারম্যান মেয়েটিকে তালাকও দিয়ে দেন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ও তার পাঁচ সহযোগী এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মো. আইয়ুবকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক, জেলা নিবন্ধক ও পিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করে পৃথক প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, হাইকোর্টের আদেশের কথা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি। কিন্তু হাইকোর্টের ওই আদেশের কপি এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে পৌঁছেনি।
প্রেমের টানে বাড়ি ছাড়া ১৪ বছর বয়সী কিশোরীর বিষয়ে ডাকা সালিশে পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করে ফেলেন স্থানীয় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার (৬০)।