কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এখন গরু-ছাগলের দখলে

 

রতন বিশ্বাস: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন আগে তৈরী দ্বিতল ভবনে অফিসসহ শ্রেণিকক্ষ ও পাশে রয়েছে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন। বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন সীমানা পাঁচিল না থাকায় বিদ্যালয়টি এখন গরু-ছাগলের দখলে। মাঝে মধ্যে কৃষকদের চাতাল হিসেবেও ব্যবহার হয় বিদ্যালয়ের সামনের মাঠটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু-ছাগল। লম্বা লাইন দিয়ে এখানে গরু-ছাগল বেঁধে রাখা হয়। গরু-ছাগল বেঁধে রাখার কারণে মল-মুত্র থেকে বিদ্যালয়ের পরিবেশ আরো নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে বিদ্যালয়ের এমন চিত্র দেখে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সীমানা পাঁচিল না থাকায় বিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে একরকম যাতায়াতের রাস্তা তৈরী হয়েছে। এ বিষয়ে বেশকিছু অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, কার্পাসডাঙ্গার মতো স্থানে এত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমানা পাঁচিল নেই। পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য নেই পর্যাপ্ত কক্ষ। এই প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই বহুতল ভবন প্রয়োজন। মেয়েদের স্কুলে অবশ্যই সীমানা পাঁচিল থাকা দরকার। বিকেলে বিদ্যালয়ে উঠতি যুবকদের দখলে থাকে। মোবাইলে গেমস, ফ্রি ফায়ার ও পাপজি খেলা করে রাত পর্যন্ত। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের ভেতরে গরু-ছাগলের গোবর-বিষ্ঠা। মাঠে চরছে গরু-ছাগল ও হাঁস মুরগি। দেখে চেনার উপায় নেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না বাসতবাড়ির আঙিনা।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়ের সীমানা পাঁচিলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিষয়টি সাক্ষাতে বলবো। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলি আজগার টগর যেনো প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সু-নজর দেন সেই দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More