কার্পাসডাঙ্গায় অল সোলস ডে’তে স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় সমাধিতে প্রার্থনা

রতন বিশ্বাস: হলুদ গাঁদা আর লাল গোলাপের পাপড়ি বিছানো সমাধিতে জ্বলছে মোমমাতি-আগরবাতি। আলোয় ভরা সে সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে মৃত ব্যক্তির আত্মার চিরশান্তি প্রার্থনা করছেন স্বজনেরা। তাদের কারও কারও চোখে জল। কেউ দাঁড়িয়ে আছেন নীরবে। না ফেরার দেশে চলে যাওয়া মানুষের স্মৃতি ভেসে উঠছে মনের আঙিনায়। ফাদারের ধর্মীয় প্রার্থনার সঙ্গে শিল্পীদের কণ্ঠে ভেসে আসছে ধর্মীয় গানও। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কার্পাসডাঙ্গা মিশনপল্লির পবিত্র খ্রিস্টান কবরস্থানের চিত্র ছিলো এমনই। যেখানে অল সোলস ডে উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শতশত নারী-পুরুষ সমবেত হয়েছিলেন মৃত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায়। বিকেল ৫টার দিকে প্রার্থনা কার্যক্রম শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ফাদার লাভলু সরকার ও ক্রাইস্ট চার্চের পুরোহিত রেভা. উজ্জ্বল দিপক বিশ্বাস প্রার্থনা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় ফাদার লাভলু সরকার বলেন, যারা আমাদের স্বজন ছিলেন, যাদের ভালোবাসা আমরা পেয়েছি কিংবা যাদের আমরা ভালবেসেছি, মৃত্যুর পর যেন তাদের ভুলে না যাই। তাদের আত্মা যেন চিরশান্তি পায়। সবাই যেন প্রভুর সান্নিধ্য পান। পুরোহিত রেভা. দিপক উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, নভেম্বর মাসের এদিনে আমরা পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তাদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি এবং তাদের শান্তি কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি। মিশনপল্লির মধ্যে ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মি. সজল বাড়ৈ বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের মধ্যে পরকালীন চিন্তা জাগ্রত হয়। আমাদেরও যে একদিন এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে সে কথা স্বরণে আসে। চার্চের সম্পাদক জয়ন্ত মন্ডল জানান, প্রতিবছর ২ নভেম্বর আমরা অল সোলস ডে পালন করে আসছি। এ দিন মৃত ব্যক্তির শান্তি কামনায় সমাধিতে এসে ফুল আর মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাদের স্বজনেরা। এবং ধর্মীয় প্রার্থনার সঙ্গে শিল্পীদের আয়োজনে ধর্মীয় গান পরিবেশন করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More