আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার হাস্যোজ্জ্বল ও জনপ্রিয় শিক্ষক মজনুর রহমান আর নেই (ইন্নালিল্লাহে………রাজেউন)। গতকাল বিকেলে গ্যাস্ট্রিক বৃদ্ধিজনিত অসুস্থতায় তাকে শহরে শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৭ বছর। মজনুর রহমান আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের মৃত হুরমত আলীর বড় ছেলে ও আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি)। মজনু মাস্টারের আকস্মিক মৃত্যুতে আলমডাঙ্গা শোকবিহ্বল হয়ে উঠে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ময়দানে প্রথম জানাজা শেষে লাশ নিজ গ্রাম চরপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় বার জানাজা শেষে রাত সাড়ে ১০টায় গ্রামের গোরস্তানে লাশ দাফন করা হয়।
মরহুমের জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, সাবেক মেয়র মীর মহি উদ্দীন,আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, এরশাদপুর একাডেমির প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক শামীম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, মজনু শুধু আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন না, তিনি ছিলেন দক্ষ শিক্ষক। পাঠদান ছাড়াও বিদ্যালয়ের সব ধরনের কাজে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ছিলেন। মোটেও রাগ করতে দেখিনি। সব কাজ হাসি মুখে করতেন। সন্ধ্যার পূর্বে তার মৃত্যু সংবাদে সকলেই শোকাহত হয়ে পড়েন। মাগরিব বাদ তাকে এক নজর দেখতে শহরের অনেক মানুষ ছুটে যান দারুস সালাম প্রাঙ্গণে। শেষ বারের মতো প্রিয় শিক্ষককে দেখতে ছুটে আসেন ব্যাথাতুর বহু শিক্ষার্থী। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া চাওয়া হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ