আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাষাবাদের জন্য জমি লিজ নিয়ে সেই জমি জোরপূর্বক জবর দখল করে নেয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে আলমডাঙ্গা উপজেলার জহুরুলনগর গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে মেরাজ হোসাইন উল্লেখ করেছেন ১৯৮৯ সালে আলমডাঙ্গার শিলা সিনেমাহলের পাশে তিনি, আব্দুল গনি ও খেদের আলী মিলে ৩৮ শতক জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমির পেছনের ওয়াপদার ইরিগেশন খাল ও জিকে প্রজেক্টের মেইন ক্যানেল রয়েছে। ওই সম্পত্তি অপর পাশে আব্দুর রবের জমিসহ বেশকিছু জমি কলেজপাড়ার বসবাসকারী বিল্লাল গনি ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক আমিরুল ইসলাম চাষাবাদের জন্য লিজ গ্রহণ করেন। ওই জমির পেছনে জিকে ক্যানেলের কিছু জমি দখল বিল্লাল গণি ও তার ছেলে আমিরুল ইসলাম করে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করতে থাকে। কিছুদিন পর চাষাবাদের জন্য লিজকৃত জমি মালিকের নিকট ছেড়ে দেয়। পরে জিকে ক্যানেলের জমি ও খালের ওপাশের আমাদের মালিকানা ৫ শতক জমি উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়কের ক্ষমতা দেখিয়ে জবর দখল করে নিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে। এ ঘটনার পর জমি একাধিকবার মাপজোক করলে আমাদের অনকূলে থাকলেও সে বিভিন্নভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তার হুমকি দেখায়। এরই এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে ওয়াপদার ওই জমি থেকে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে তাদেরকেও উচ্ছেদ করা হয়। তার কিছুদিন পরেই ক্ষমতার দাপটে আমিরুল অবৈধভাবে ওয়াপদা এবং আমাদের জমিতে ঘর নির্মাণ করে। আমরা আমাদের জমি ছেড়ে দিতে বললে বিল্লাল গনি ও তার ছেলে আমিরুল নানাভাবে হুমকি ধামকি দেখিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, আমাদের জমি জবর দখলমুক্তের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।