আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার নারী উদ্যোক্তা দুই বোনের স্বপ্নের ‘সিস্টার্স কিচেন’র আউটলেট পুড়ে গেছে। নারী উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার প্রতীক হয়ে ওঠা আলমডাঙ্গার ওয়াপদা এলাকায় অবস্থিত সিস্টার্স কিচেনের আউটলেটটি ১৭ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুনে পুড়ে যায়। গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ এ রিং করে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয়। কিন্তু আলমডাঙ্গার অতি সুপরিচিত ‘ওয়াপদা’ জায়গাটি প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা চিনতে পারেননি। চিনে আসতে আসতে তাদের সময় লাগে ৪৫ মিনিট। তার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার থানাপাড়ার উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে দিলরুবা চাকরীর দিকে না গিয়ে ‘সিস্টার্স কিচেন’ নাম দিয়ে হোম মেইড খাবারের ব্যবসা শুরু করেন। জন্মদিনের কেক ও পিজ্জার জন্য দিলরুবার নাম অল্পদিনেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তার ব্যবসা বাড়ি থেকে শহরের ওয়াপদাতে স্থানান্তর করেন। সিস্টার্স কিচেনের আউটলেটটিতে বিকেল থেকে রাত অবধি ভোজন রসিকদের ভীড় জমে থাকে।
নারী উদ্যোক্তার এ উত্থানকে স্বাগত জানিয়ে সিস্টার্স কিচেনের পাশে দাঁড়ায় আলমডাঙ্গা মৎস অধিদফতর। মৎস অধিদফতরের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াপদায় গড়ে ওঠে সিস্টার্স কিচেনের আউটলেট। দিলরুবা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিকবার পুরস্কৃত হয়েছেন। সিস্টার্স কিচেন আগুনে পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পেছনে ফায়ার সার্ভিসকেও অনেকাংশে দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সিস্টার্স কিচেনের স্বত্বাধিকারী দিলরুবা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আলমডাঙ্গার ওয়াপদা জায়গাটি প্রথমে চিনতে পারেননি। তারা মোবাইলে বারবার জানতে চাচ্ছিলেন ওয়াপদা জায়গাটি কোথায়? ফায়ার সার্ভিসের ঢিলেমিতে আউটলেটটি পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার যথেষ্ট সময় পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, একবার জানতে চাওয়ার পরই আমরা ওয়াপদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারপরও কেনো এমন অভিযোগ উঠছে তা বোধগম্য নয়।