আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার হাউসপুরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হামলার ঘটনায় মারাত্মক জখম রবিউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে হামলাকারী আব্দুল কাদের রানার লোকজন মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তোভোগী পরিবার। এতে আহত রবিউলের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জানাগেছে, উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বাদেমাজু গ্রামের ইউপি সদস্য মকবুল ম-লের ছেলে মানোয়ার হোসাইন ওল্টুর সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মকলেছুল হকের ছেলে আব্দুল কাদের রানার বিরোধ চলে আসছিলো। বিভিন্ন সময় আব্দুল কাদের রানা ইউপি সদস্যসহ তার ভাইদের মারধরের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই একপর্যায়ে ১৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ইউপি সদস্য মানোয়ার হোসাইন ওল্টুর ছোট ভাই হোটেল ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বেল্টুর হাউসপুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ম-ল মিষ্টান্ন ভান্ডারে গিয়ে আব্দুল কাদের রানাসহ কয়েকজন মিলে হামলা চালায়। এসময় হোটেলের সামনে মানোয়ারের চাচাতো ভাই রবিউল ইসলামকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে হোটেলের ভেতরে প্রবেশ করে হোটেল ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেনকে তাড়িয়ে ধরে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বেল্টু ও রবিউলকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রবিউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মানোয়ার হোসাইন ওল্টু আলমডাঙ্গা থানায় আব্দুল কাদের রানাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছেন। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত আব্দুল কাদের রানার ভাই জাফর ইকবাল রাজাকে গ্রেফতার করেছে।
ইউপি সদস্য মানোয়ার হোসাইন ওল্টু জানান, আব্দুল কাদের রানার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইবি, চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা থানায় মাদক, চুরি ও ছিনতাই মামলাসহ হাফডজন মামলা রয়েছে। তার বেপরোয়া কর্মকান্ডে গ্রামসহ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।