ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় মুদি দোকান অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে এক প্রতারক। গতকাল বুধবার টহ বাজারের মুদিব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলামের রাশেদ স্টোরে এ প্রতারণার ঘটনা ঘটে। দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রতারককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, রাশেদ স্টোরের মালিক রাশেদুল ইসলাম ব্যবসায়িক কাজে গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে যান। এ সময় দোকানে বেচাকেনার দায়িত্বে রেখে যান তার ১২ বছরের ছেলে রামিমকে। আর এই সুযোগটি কাজে লাগায় প্রতারক। বেলা ৩টার দিকে ক্রেতা সেজে রামিমের কাছে এক প্রতারক জানতে চায় তার বাবা কোথায়? জবাবে সে বলে বাবা চুয়াডাঙ্গায় গেছেন। প্রতারক রামিমকে বলে বাবাকে ফোনে কল দাও। রামিম জানায় তার কাছে কোনো ফোন নেই। এসময় পাশের দোকানদার জাহিদুল ইসলামের ফোন এনে বাবা রাশেদুল ইসলামকে ফোন করে রামিম। ওই ফোন নিয়ে রাশেদুল ইসলামের সাথে কথা বলে প্রতারক। জানতে চায় সয়াবিন তেল, জিরা, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। অপর পাশ থেকে রাশেদুলের জবাবের পরপরই, প্রতারক ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে, অভিনয়ের ছলে কথা বলার ভান করতে থাকে। অবুঝ কিশোর ভাবে আমার বাবার পূর্ব পরিচিত ব্যক্তি। প্রতারক কথার এক পর্যায় বলে ভাই আমি বিকেলে এসে টাকা দিয়ে যাবো, এই বলে মেকি ফোনালাপ বন্ধ করে দেয়। ছেলে ভাবে বাবার সাথে কথা হলো। তাই প্রতারকের চাহিদা অনুযায়ী ২০ লিটার সয়াবিন তেল, ১০ কেজি জিরা, চিনি, ডালসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল কয়েকটি বস্তায় ভরে প্রতারক ভ্যানযোগে দ্রুত সটকে পড়ে। দোকান মালিক রাশেদুল দোকানে ফিরে এলে প্রতারণার ঘটনাটি পরিষ্কার হয়। দোকানের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে, অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তির নামে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়।