আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা গ্রামে ১২ বছরের শিশুকন্যাকে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের বিবাহিত যুবক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ২০ জুন দুপুরে হাতে থাকা ধারালো হেঁসোর ভয় দেখিয়ে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুকন্যাকে আলমগীর ফেলে রেখে যান। এ ঘটনায় অত্যাচারের শিকার শিশুকন্যার মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা গ্রামের ১২ বছরের এক শিশুকন্যা বাড়ির পাশের মাঠে খড়ি কুড়াতে গিয়েছিলো। ওই সময় একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বিবাহিত ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) তার হাতে থাকা হেঁসো উচিয়ে ভয় দেখিয়ে শিশুকন্যাকে পার্শ্ববর্তী মুল্লাতের পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। দুপুর গড়িয়ে গেলেও শিশুকন্যা বাড়ি ফিরে না গেলে মা আতঙ্কিত হয়ে মাঠে খুঁজতে যান। এক পর্যায়ে পাটক্ষেতের ভেতর কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তার নিজের শিশুকন্যা কাঁদার মধ্যে শুয়ে কান্নাকাটি করছে।
নির্যাতনের শিকার শিশুকন্যাটি মাকে সব খুলে বলে। গত দুদিন ধরে এ শিশুকন্যা ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসা করতে দফায় দফায় সালিস করা হলেও শেষ পর্যন্ত ২২ জুন আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুকন্যার মা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহার দায়েরের পর আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন।