আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার খোরদে পিতা পুত্রকে কুপিয়ে যখম মামলার সাক্ষী ও তার ভাতিজা কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের খোরদ গ্রামের পাচুখালি মাঠে কলাবাগানে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাওনা টাকা পরিশোধ করাকে নিয়ে গ্রামের মৃত জমির ম-লের ছেলে রুহুল আমিন ও মৃত নূর ইসলামের ছেলে আব্দুল হালিমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। চড় থাপ্পর এক পর্যায়ে হেঁসো দিয়ে পিতা পুত্রকে কুপিয়ে যখম করা হয়। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলার প্রধান সাক্ষী মৃত মহির ম-লের ছেলে আলফাজ উদ্দিন ও তার ভাতিজা হাসিবুল ইসলামের ছেলে শাহিন আলম গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৫ টার দিকে গ্রামের পাচুখালি মাঠে কলাবাগানে চাষ করছিল। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য গ্রামে গেলে বিষয়টি তারা টের পেয়ে মাঠের দিকে সটকে যায় এবং ওই কলাবাগানে চাষ করা মামলার প্রধান সাক্ষী ও তার ভাতিজাকে সামনে পেয়ে কুপিয়ে জখম করেছে।
মামলার আসামি মৃত নূর ইসলামের ছেলে আব্দুল হালিম, আব্দুস সালাম, আব্দুর রোফ, আক্তারুল ইসলাম, আব্দুস সালামের ছেলে হৃদয় হোসেন, মজনু আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, মামলার বাহিরে থাকা আনিস উদ্দিনের ছেলে শাহাবুদ্দিন ও আব্দুস সালাম মিলে ওই মামলার সাক্ষী ও তার ভাতিজাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করেছে। তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে বাদীপক্ষের পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে স্বামী ও পুত্রকে কুপিয়ে জখম মামলার বাদী রুহুল আমিনের স্ত্রী রসফুল বেগম বলেন ওরা আমার স্বামী ও পুত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে। আমি আলমডাঙ্গা থানায় নিয়মিত মামলা করেছি। মামলা থেকে বাঁচতে মামলার আসামি মৃত নূর ইসলামের বড় ছেলে আক্তারুল ইসলাম নিজে তার নিজের হাত কেটে হাসপাতালে ভর্তির সাজানো নাটক করেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ