আমাদের একমাত্র লক্ষ্য গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। ‘বিপ্লবে নারী, চেতনায় নারী, গণতন্ত্র ফেরাতে আমারাই পারি’ সেøাগানে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফুর নাহার রিনা। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়াই একমাত্র পথ। এখন জিয়াউর রহমানের সেই চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এখন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। প্রধান বক্তা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ। দেশের মানুষ আজ ভালো নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই এই ফ্যাসিস্ট ও অগণতান্ত্রিক সরকারকে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পতন ঘটাতে হবে। এসময় তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’ বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত। জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি পৌর কাউন্সিলর শেফালী বেগম, যুগ্ম সম্পাদক সালমা জাহান পারুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন বেগম প্রমুখ। এছাড়াও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, জীবননগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোকাররম হোসেন, সদস্য সচিব ও বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, সাধারণ সম্পাদক এমএ তালহা, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব হাকিম মুন্সী, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মওলানা আনোয়ার হোসেন, রিফাত সুলতানা, পারুলা খাতুন পারুল, তেজেরা খাতুন, ছামসুন নাহার পলি, শরিফা খাতুন, পেয়ারা বেগম, রেবেকা সুলতানা, ফাতেমা খাতুন প্রমুখ। সভায় জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফুর নাহার রিনা চুয়াডাঙ্গা জেলার ৯টি ইউনিটে মহিলা দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আহ্বায়ক তেজেরা খাতুন। সদস্য সচিব সোফিয়া খাতুন, সদস্য রিক্তা খাতুন, কবিতা খাতুন, হাসি খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর শাখার আহ্বায়ক জিনিয়া খাতুন, সদস্য সচিব পারুলা খাতুন, সদস্য মিরা খাতুন, বিউটি খাতুন, জাহানারা খাতুন, আলমডাঙ্গা উপজেলার শাখার আহ্বায়ক উম্মে রিফাত সুলতানা, সদস্য সচিব রেহেনা খাতুন, সদস্য শামসুন্নাহার পলি, মাহফুজা খাতুন, জাহানারা খাতুন, আলমডাঙ্গা পৌর শাখা আহ্বায়ক জিনিয়া পারভিন, সদস্য সচিব শরিফা খাতুন,  সদস্য নূর জাহান খাতুন, আদুরী খাতুন, ঠেকারী খাতুন, দামুড়হুদা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ছালমা জাহান পারুল, সদস্য সচিব লাইলা আঞ্জুমান বেবী, সদস্য চম্পা খাতুন, সালেহা খাতুন, রাজিয়া খাতুন, জীবননগর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক পেয়ারা বেগম, সদস্য সচিব অ্যাড. রেবেকা সুলতানা, সদস্য রিনা খাতুন, তহুরা বেগম, আন্জুয়ারা বেগম, শাপলা খাতুন, জীবনগর পৌর আহ্বায়ক যুথী খাতুন, সদস্য সচিব নার্গিছ আক্তার, সদস্য রিজিয়া খাতুন, রাজিয়া খাতুন, ফেরদৌসী খাতুন, দর্শনা থানা শাখার আহ্বায়ক নিলুফা খাতুন, সদস্য সচিব শাহানাজ পারভীন বেবী, সদস্য ফাতেমা খাতুন, বিলকিচ খাতুন, আনোয়ারা খাতুন, দর্শনা পৌর শাখার আহ্বায়ক সুরাতন নেছা, সদস্য সচিব মর্জিনা খাতুন, সদস্য সালপনা খাতুন, জোসনা, মনোয়ারা বেগম, শিরিনা আক্তার, রজনী খাতুন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সকল ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়।