স্টাফ রিপোর্টার: বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ। পিতৃপক্ষ আর দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণ হচ্ছে মহালয়া। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা প্রতিপদ শুরু হয়ে পরবর্তী অমাবস্যা পর্যন্ত সময়কে পিতৃপক্ষ বলে। পুরাণ মতে ব্রহ্মার নির্দেশে পিতৃপুরুষরা এই ১৫ দিন মনুষ্যলোকের কাছাকাছি চলে আসেন। তাই গোটা পক্ষকাল ধরে পিতৃপুরুষদের স্মরণ ও মননের মাধ্যমে তর্পণ করা হয়। যার চূড়ান্ত প্রকাশ বা মহালগ্ন হলো এই মহালয়া। অনেকেই এই দিনটিকে দেবীপক্ষের সূচনা বলে থাকেন। যদিও মহালয়া হলো পিতৃপক্ষের শেষ ও শুক্লা প্রতিপদে দেবীপক্ষের সূচনা। মহালয়ার পর থেকে কোজাগরী পূর্ণিমা পর্যন্ত ১৫ দিনই হলো দেবীপক্ষ। মহালয়া থেকেই শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার মর্তে আগমনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়। মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গার বোধন করা হয়, বোধন অর্থ জাগরণ। তাই মহালয়ার পর দেবীপক্ষের/শুক্লপক্ষের প্রতিপদে ঘট বসিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার সূচনা করা হয়। মহালয়ার পর প্রতিপদে যে বোধন হয় সে সময় সংকল্প করে দুর্গাপূজার আয়োজন চলে, একে বলে কল্পরম্ভা। প্রতিপদ থেকে শুধু ঘটে পূজা ও চন্ডীপাঠ চলে। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। যদিও ষষ্ঠি থেকে পূজার প্রধান কার্যক্রম শুরু হয়, একে বলা হয় ষষ্ঠাদিকল্পরম্ভা, সপ্তমী থেকে বিগ্রহতে। দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মহালয়া। মূলত এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। কারণ মহালয়ার ছয় দিন পরই দুর্গাপূজা। অর্থাৎ আগামী ১১ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। করোনার কারণে এবারও সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় পূজা উদ্যাপন কমিটি।