আগাম জামিন পেতে হাই কোর্টে বসুন্ধরা এমডি সায়েমের আবেদন
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। আনভীরের দেশ ছাড়ায় বিচারিক আদালত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরদিন বুধবার হাই কোর্টে তার জামিন আবেদনের খবর পাওয়া যায়।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় ১৪ ক্রমিকে তার আগাম জামিনের আবেদনটি শুনানির জন্য এসেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. তাহিরুল ইসলাম বলেন, “আপনাদের মাধ্যমেই শুনেছি। পরে দেখলাম কার্যতালিকায় ১৪ নাম্বার আইটেমে আছে একটি আবেদন।
“সাধারণত আবেদনের একটি অনুলিপি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়েও জমা দেয়া হয়। আমি অফিস থেকে বিকেলে বাসায় চলে এসেছি। তখন পর্যন্ত আবেদনের কোনো অনুলিপি আমি পাইনি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।” সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাতে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান। তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর মুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু বিয়ে না করে উল্টো হুমকি দেওয়ায় মুনিয়া আত্মহত্যা করেন। মামলার পর মঙ্গলবারই পুলিশ আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করে। তাতে ঢাকার আদালত সাড়াও দেয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আনভীরের যাতায়াতের প্রমাণ তারা পেয়েছেন। এই ঘটনায় আনভীরের কোনো বক্তব্য কোনো গণমাধ্যমই পায়নি। মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়; পরিবার সেখানেই থাকে। মাস দুয়েক আগে এক লাখ টাকায় ভাড়া নেওয়া ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন তিনি। ময়নাতদন্তের পর মুনিয়াকে মঙ্গলবার কুমিল্লায় দাফন করা হয়েছে।