আখের সাথে সাথী ফসল চাষে যোগান দেবে বাড়তি আয়
দর্শনা কেরুজ কৃষিখামার পরিদর্শনকালে সদর দপ্তরের প্রধান সিপিই
বেগমপুর প্রতিনিধি: দর্শনা কেরুজ চিনিকলের বিভিন্ন কৃষিখামারে আখের সাথে সাথী ফসল চাষ করা হয়েছে। এসব সাথী ফসল চাষ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রধান সিপিই দিলীপ কুমার সরকার। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি চিনিকলের আওতাধীন ফুরশেদপুর কৃষি খামার পরিদর্শনে যান। এ খামারে আখের সাথে সাথী ফসল হিসাবে চাষ করা হয়েছে সরিষা, আলু, মসূরি, ছোলা ও ধনিয়া। সাথী ফসল পরিদর্শন কালে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, দেশে কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। আধুনিক ও যান্ত্রীক চাষাবাদ নির্ভর হয়ে পড়েছে মানুষ। প্রযুক্তির সম্প্রাসারণ ঘটনায় মানুষ দেশ বিদেশের চাষাবাদ সম্পর্কে অবগত হচ্ছে। আর সে ধারনা থেকেই একই সময়ে একই জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করা হচ্ছে। আখ একটি দীর্ঘ মেয়াদি ফসল। তাই আখ রোপনের সাথে সাথী ফসল হিসাবে সরিষা, মুগ, কলাই, মুসরি, ধনিয়া চাষ করা যেতেই পারে। আখ তৈরিতে যে খরচ হবে সাথী ফসল উৎপাদনে বাড়ি খরচের যোগান হিসাবে কাজ করবে। এ সময় অতিথির সাথে ছিলেন চিনি কলের মহাব্যবস্থপক (কৃষি) আশরাফুল ইস লাম ভূঁইয়া, জিএম খামার সুমন কুমার সাহা, বেগমপুর কৃষি খামার ইনচার্জ ফিরোজ আহম্মেদ, ফুরশেদপুর খামার ইচার্জ এমদাদ হোসেন। খামার ইনচার্জ এমদাদ হোসেন বলেন, চাষিরা আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে একাধিক ফসল রোপন করে উৎপাদন খরচ কমিয়ে বাড়তি আয় করছেন। সাথী ফসল চাষে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় সাথী ফসল চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আখ ও সাথী ফসলের ব্যাপক ফলন ও বাজারদরও ভালো। আখ চাষিরা সাথী ফসল চাষ করে লাভবান হলে সরকারি প্রতিষ্ঠান কেনো পারবে না। চিনি কলের কৃষি খামারে চাষাবাদের সব উপকরণই তো আছে। এখানকার মাটি বেলে ও বেলে দোআঁশ। যা আখ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। বর্তমানে আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল জাতীয়, তেল জাতীয় ফসলগুলো আলাদা জমি ছাড়াই বিনা সেচে চাষ করা যায়। ফলে এককভাবে আখ চাষের চেয়ে অনেক লাভজনক। প্রাকৃতিক দূর্যোগে আখের ক্ষতি হলেও সাথী ফসল দিয়ে তা পুষিয়ে নেয়া যাবে। আর সাথী ফসল হিসেবে ডাল জাতীয় ফসল চাষ করলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। তাই আখের সাথে সাথী ফসলের উদ্যোগ। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাড়তি আয়ে লাভবান করলে সকলের জন্যই মঙ্গল। তবে আখ চাষ বাদে নয়। চিনিকলসূত্রে জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় গড়ে ওঠে কেরু অ্যান্ড কো¤পানির ঐতিহ্যবাহী চিনিকল প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের আওতায় মোট জমির পরিমাণ খামারে রয়েছে ৩ হাজার ৩৩৫ দশমিক ৫৬ একর জমি।