বেগমপুর প্রতিনিধি: পত্রিকায় সংবাদ গ্রকাশের পর চুয়াডাঙ্গা তিতুদহের গোলাপনগর মোড়ে চিত্রা নদীর মুখে ব্রিজের নিচে মাছ ধরার অজুহাতে দেয়া বাঁধ অপসারণ করেছেন সদর ইউএনও। বাঁধ অপসারিত হওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে নামতে শুরু করেছে বড়সলুয়া পুকুমারী বিলে জমে ফুলে ফেঁপে থাকা পানি। বড় ধরণের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে চলেছে বিলের ধারে চাষ করা ফসল ও সবজির আবাদ।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের দক্ষিণপাশে অবস্থিত পুকুমারী বিল। এ বিলের পূর্বপাশে গোলাপনগর মোড়ে চিত্রা নদীর সাথে রয়েছে সংযোগ। আর সংযোগ স্থলে পাকা সড়কের নিচে আছে ব্রিজ। যা দিয়ে পুকুমারী বিলের পানি সহজেই চিত্রা নদীতে চলে যায়। সেই ব্রিজের মুখে কতিপয় স্বার্থানেষী মহল মাছ ধরার অজুহাতে বাঁধ দিয়ে রাখে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি দৃষ্টিগোচরে আসে উপজেলা প্রশাসনের। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের নির্দেশে দুপুরের দিকে তিতুদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে যান এবং ব্রিজের মুখের বাঁধ অপসারণ করেন। একটি সূত্র জানায়, ব্রিজের মুখের বাঁধ অপসারণ করা হলেও তিতুদহ গ্রামের আব্দুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে হাশেমের দেয়া বাঁধটি চোখ এড়িয়ে যায় কর্মকর্তাদের। বাঁধ অপসারিত হওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে নামতে শুরু করেছে বিলে জমে থাকা পানি। ফলে বড় ধরণের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে চলেছে বিলের ধারে চাষ করা বিভিন্ন ফসল ও সবজি আবাদ।