ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে তিন সাংবাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী শেফালী খাতুন। খুলনার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে তিনি এ মামলা করেছেন। আদালত বাদীর অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন আইপি টিভি-৭১ বাংলার ঝিনাইদহ প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান সুমন, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শামিমুল ইসলাম শামিম, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার শৈলকূপা প্রতিনিধি এইচএম ইমরান ও শেফালীর সাবেক স্বামী শৈলকূপার পাঁচপাখিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে ইবি ছাত্রী উল্লেখ করেছেন, তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ছাত্রী ও একজন কৃষি উদ্যোক্তা। ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলার চার নাম্বার আসামি মনিরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্রসন্তান হয়। ২০১৩ সালের শেষদিকে স্বামী তাকে ফেলে রেখে বিদেশ চলে যায়। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে তাকে নির্যাতন করতে থাকেন। এ কারণে ২০২০ সালের ৭ জুন স্বামীকে তিনি ডিভোর্স দেন। এরপর যে যার মতো চলতে থাকেন। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে এক নাম্বার আসামি মনিরুজ্জামান সুমন তার ফেসবুক ওয়ালে ওই ইবি ছাত্রী ও আহসানুল কবীর টিটো নামে একজনের কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেন। এরপর ২নং আসামি শামিমুল ইসলাম শামিম ও ৩নং আসামি এইচএম ইমরানের ব্যক্তিগত আইডি থেকে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ও নিউজ ছড়িয়ে পড়ার পর ইবি ছাত্রীর প্রতি ঘৃণা ছড়াতে থাকে। এলাকায় এ নিয়ে মুখরোচক ও বিরূপ আলোচনায় পরিণত হয়। বাদীর ব্যক্তিগত সুনাম ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘিœত করার জন্যই আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে এ সাইবার অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে ইবি ছাত্রী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।
বিষয়টি নিয়ে ইবি ছাত্রীর আইনজীবী স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, গত ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞ বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত খুলনায় অভিযোগটি দায়ের করা হলে ঝিনাইদহ পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে তিন সাংবাদিকের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তিন সাংবাদিকের নামে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ